পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে রোমে বিশ্বনেতাদের আগমন।
ভ্যাটিকান সিটি থেকে: পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে রাষ্ট্রপ্রধান ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ইতালির রাজধানী রোমে এসে পৌঁছেছেন। আগামী শনিবার ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে এই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে।
প্রয়াত পোপের মরদেহ জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় রাখা হয়েছে।
এই শোকানুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জ্যাভিয়ার মিয়েলেই। এছাড়াও, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার, প্রিন্স উইলিয়াম, স্পেনের রাজা ষষ্ঠ ফেলিপে ও রানি লেতিজিয়া, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অর্বান এবং ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও রয়েছেন।
পোপ ফ্রান্সিসের (Pope Francis) মরদেহ সোমবার শেষকৃত্যের আগে পর্যন্ত জনসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাখা হয়েছে। শেষকৃত্যের প্রস্তুতি হিসেবে সন্ধ্যায় তাঁর কফিন সিল করা হবে।
খবর অনুযায়ী, ইতোমধ্যে এক লক্ষ আটাশ হাজারের বেশি মানুষ প্রয়াত পোপকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। শোকাহত মানুষের দীর্ঘ সারির কারণে, জনসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
অনেকে প্রয়াত পোপের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে তার ছবি তোলার চেষ্টা করেছেন, যা কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞার পরেও দেখা গেছে।
পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পরে, নতুন পোপ নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা ‘কনক্লেভ’ (Conclave) নামে পরিচিত।
এই প্রক্রিয়া শুরু হতে অন্তত ৫ই মে পর্যন্ত সময় লাগবে বলে জানা গেছে। কার্ডিনালরা ইতিমধ্যেই বৈঠকে মিলিত হয়েছেন এবং তারা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করছেন।
পোপ ফ্রান্সিস ছিলেন সাধারণ মানুষের প্রতি বিশেষভাবে সহানুভূতিশীল। তাই তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় দরিদ্র ও আশ্রয়হীন মানুষদের বিশেষভাবে সম্মানিত করা হবে।
তাঁর সমাধিস্থল প্রস্তুত করা হচ্ছে সেন্ট মেরি মেজর ব্যাসিলিকায়।
পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যানুষ্ঠানটি বিশ্বজুড়ে ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। তাঁর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সকলে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস