মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইতালির রোমে এক সংক্ষিপ্ত বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে তাঁদের এই সাক্ষাৎ হয়।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এই বৈঠকের বিষয়টিকে ফলপ্রসূ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে তাঁদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া বৈঠকের পর এই প্রথম তাঁরা মুখোমুখি হলেন।
বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চেং জানান, “আজ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির মধ্যে একটি ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। এই বৈঠকের বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
অন্যদিকে, জেলেনস্কির চিফ অফ স্টাফ আন্দ্রেই ইয়ারমাক ১৫ মিনিটের এই বৈঠকটিকে গঠনমূলক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
দুই নেতার এই সাক্ষাৎ এমন এক সময়ে হলো, যখন ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের সমাধানে আলোচনার প্রচেষ্টা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। এই আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে ক্রিমিয়ার ভবিষ্যৎ, রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা, ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা এবং কিয়েভকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার মতো বিষয়গুলো।
আগের বৈঠকে ট্রাম্প এবং জেলেনস্কির মধ্যে সম্পর্কের অবনতি দেখা গিয়েছিল। সেই সময় মার্কিন সমর্থন নিয়ে জেলেনস্কির কৃতজ্ঞতা প্রকাশে ঘাটতি ছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। এছাড়া, ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের পোশাক নিয়েও সমালোচনা করেছিলেন অনেকে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যায়, ট্রাম্প তাঁর দূত মারফত রাশিয়ান কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনাকে ফলপ্রসূ বলে অভিহিত করেছেন এবং দুই পক্ষের মধ্যে সরাসরি বৈঠকের ওপর জোর দিয়েছেন। তবে, ইউক্রেন এবং তার ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের প্রস্তাবগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য দেখা যাচ্ছে।
বিশেষ করে, ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার মার্কিন প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে ইউক্রেন এবং ইউরোপীয় দেশগুলো।
এছাড়াও, মস্কোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার সময়, ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা এবং কিয়েভকে কীভাবে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, সেই বিষয়েও দ্বিমত রয়েছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা