ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ জেতানোর চ্যালেঞ্জ টুখেলের!

নতুন দায়িত্বে এসে ইংল্যান্ডের ফুটবল ইতিহাসের চাপ অনুভব করছেন টমাস টুখেল।

ইংল্যান্ড জাতীয় দলের নতুন কোচ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর টমাস টুখেল যেন দেশটির ফুটবল ইতিহাসের এক বিশাল বোঝা অনুভব করছেন। ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ জয় ছাড়া বড় কোনো শিরোপা জিততে না পারার হতাশাই যেন তাড়া করছে তাকে।

আসন্ন ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য দল প্রস্তুত করতে গিয়ে এই জার্মান কোচের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

টুখেল মনে করেন, খেলোয়াড়দের মধ্যে জয়ের ক্ষুধা ও আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে। সম্প্রতি ইউরো ২০২৪-এ দলের পারফরম্যান্স ছিলো বেশ হতাশাজনক।

তিনি বলেন, খেলোয়াড়রা যেন ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে চাপ অনুভব করে, যা তাদের স্বাভাবিক খেলা থেকে দূরে রাখে। টুখেলের মতে, দলের মধ্যে ভয়ের সংস্কৃতি দূর করতে হবে এবং খেলোয়াড়দের স্বাধীনভাবে নিজেদের প্রকাশ করতে দিতে হবে।

প্রথম প্রেস কনফারেন্সে টুখেল জানান, তিনি সবসময় খেলার আগে নার্ভাস অনুভব করেন। তবে, মাঠের খেলায় জয় তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

শুধু সুন্দর ফুটবল খেললেই হবে না, জিততে হবে। সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণে দল হিসেবে ভালো খেলতে হবে।

টুখেলের মতে, দলের মধ্যে একটা স্পার্ক তৈরি করতে হবে, যা খেলোয়াড় ও সমর্থকদের আকৃষ্ট করবে। তিনি স্পেনের উদাহরণ টেনে বলেন, কিভাবে তারা মাঠের খেলায় নিজেদের প্রমাণ করেছে এবং সমর্থকদের ভালোবাসা অর্জন করেছে।

টুখেল চান, তার দল যেন মাঠে আগ্রাসী ফুটবল খেলে এবং সমর্থকদের হৃদয়ে জায়গা করে নেয়।

টুখেল মনে করেন, ইংল্যান্ডকে এখন ‘আন্ডারডগ’ হিসেবে খেলতে হবে। কারণ, তারা এখনো সেরকম ধারাবাহিক জয় পায়নি।

এই মানসিকতা পরিবর্তনের মাধ্যমে দলের ওপর থেকে চাপ কমানো সম্ভব।

ইংল্যান্ডের ফুটবল ইতিহাসে ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ জয় একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। তবে, এরপর দলটির প্রত্যাশিত সাফল্য না আসায় সমর্থকদের মধ্যে হতাশা রয়েছে।

টুখেল এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তার মূল লক্ষ্য ২০২৬ বিশ্বকাপ জয় করে ইংল্যান্ডের ফুটবলে নতুন ইতিহাস তৈরি করা।

এখন দেখার বিষয়, টুখেল তার কৌশল কাজে লাগিয়ে দলকে সাফল্যের পথে কতটুকু এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *