ফুটবল: জুন মাসের সূচি নিয়ে মুখ খুললেন কোচ, ফিফার কাছে বড় আবেদন!

ফিফা-র আন্তর্জাতিক ম্যাচের সময়সূচী নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন টমাস টুখেল।

ফুটবল বিশ্বে খেলোয়াড়দের বিশ্রাম এবং তাদের ফিটনেস নিয়ে প্রায়ই আলোচনা হয়। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বায়ার্ন মিউনিখের কোচ থমাস টুখেল।

ফিফা-র জুন মাসের আন্তর্জাতিক ম্যাচের সময়সূচী নিয়ে তিনি অসন্তুষ্ট। তাঁর মতে, এই সময়ে খেলোয়াড়দের বিশ্রাম পাওয়া উচিত, কিন্তু ক্লাব এবং আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলির কারণে তা সম্ভব হয় না।

টুখেল মনে করেন, ক্লাব এবং জাতীয় দলের কোচেরা সবাই খেলোয়াড়দের বিশ্রাম নিয়ে চিন্তিত। মৌসুমের শেষে খেলোয়াড়েরা খুব অল্প সময়ের জন্য ছুটি পান। এর পরেই তাঁদের আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলতে হয়।

ক্লাব বিশ্বকাপের কারণে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ও লা লিগা-র খেলা শেষ হয় ২৫শে মে, বুন্দেসলিগা শেষ হয় ১৭ই মে। এরপরই খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে হয়।

টুখেলের মতে, খেলোয়াড়দের সুস্থ রাখতে ফিফা-র ক্যালেন্ডারে পরিবর্তন আনা উচিত। তিনি বলেছেন, “আমার মনে হয় ফিফা-র এই বিষয়টাতে নজর দেওয়া উচিত। খেলোয়াড়দের জন্য উপযুক্ত বিরতির ব্যবস্থা করা দরকার।”

ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক হ্যারি কেইনও এই বিষয়ে তাঁর মতামত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “বিষয়টা কঠিন। ক্লাবগুলি আরও বেশি অর্থ উপার্জন করতে চায়, কিন্তু খেলোয়াড়দের সুস্থতাও গুরুত্বপূর্ণ।”

কেইন আরও যোগ করেন, “খেলোয়াড়েরা অনেক সময় তাঁদের কথা শোনা হয় না।”

আসলে, এই গ্রীষ্মে ক্লাব বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। বায়ার্ন মিউনিখ, রিয়াল মাদ্রিদ, চেলসি এবং ম্যানচেস্টার সিটির মতো দলগুলির খেলোয়াড়েরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন।

এই কারণে, তাঁদের ক্লাব এবং আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলির মধ্যে বিশ্রাম নেওয়ার সময় আরও কমে যাবে।

ফিফা-র নিয়ম অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলির কারণে খেলোয়াড়েরা তাঁদের ক্লাবের হয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পান না। টুখেল মনে করেন, এই বিষয়টিতে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।

তিনি চান, খেলোয়াড়েরা যেন পর্যাপ্ত বিশ্রাম পান এবং তাঁদের ফিটনেস বজায় থাকে।

ফুটবল বিশ্বের এই ব্যস্ত সূচীর কারণে খেলোয়াড়দের উপর মানসিক এবং শারীরিক চাপ বাড়ছে। টুখেল এবং কেইনের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের এই বিষয়ে কথা বলা খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য এবং খেলার মান উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *