তুরস্কে গণতন্ত্রের প্রশ্নে উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ, ইস্তাম্বুলের মেয়র গ্রেপ্তার। গত সপ্তাহে তুরস্কের বৃহত্তম শহর ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুর গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাস্তায় নামে হাজার হাজার মানুষ।
বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার অপব্যবহার এবং গণতন্ত্রকে দুর্বল করার চেষ্টার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। তাদের অভিযোগ, আসন্ন নির্বাচনে ইমামোগলুকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরিয়ে দিতেই এই পদক্ষেপ।
ইমামোগলু এবং তার সাথে গ্রেপ্তার হওয়া শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও মেয়র এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এছাড়া, স্থানীয় নির্বাচনের আগে একটি বামপন্থী রাজনৈতিক জোটের সাথে কাজ করার কারণে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগও আনা হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, এই লড়াই শুধু ইমামোগলুকে নিয়ে নয়, বরং গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং সকলের সমান অধিকারের জন্য। বিক্ষোভকারীরা সরকারের দমন নীতির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কর্তৃপক্ষ কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ইস্তাম্বুলের সিটি হলের দিকে যাওয়া রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করা হয়।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “তুরস্ক রাস্তায় নামার দেশ নয় এবং রাস্তার সন্ত্রাসবাদের কাছে নতি স্বীকার করবে না।”
আন্তর্জাতিক মহলে এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া মিশ্র। অনেক দেশ সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে, কিছু দেশ তুরস্ককে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, আন্তর্জাতিক চাপ খুব একটা কাজে আসবে না। কারণ, তুরস্ক বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে বিশ্ব মঞ্চে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে।
এদিকে, বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) ইমামোগলুকে আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান