ইস্তাম্বুলের মেয়রকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে তুরস্কে বিক্ষোভ, এরদোগানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগ। তুরস্কের বৃহত্তম শহর ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার হাজার হাজার মানুষ সরকার বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয়, যদিও কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। বিরোধী দল এই গ্রেফতারকে প্রেসিডেন্ট তাইয়েপ এরদোগানের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসেবে বর্ণনা করেছে।
বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, মেয়র ইমামোগলুকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সিএইচপির প্রধান ওজгур ওজেল এক সাক্ষাৎকারে বলেন, প্রেসিডেন্ট এরদোগান ইমামোগলুকে নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ভয় পান, তাই তাকে “খেলা থেকে সরিয়ে দিতে” চাইছেন।
তিনি আরও জানান, আগামী নির্বাচনে ইমামোগলুকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হবে। ইমামোগলুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান এই গ্রেফতার নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনাকে “নাটক” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
বিক্ষোভকারীরা ইস্তাম্বুলের মেয়র অফিসের সামনে এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সমবেত হন। অনেক স্থানে পুলিশের সঙ্গে তাদের সামান্য সংঘর্ষ হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে। কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞার কারণে কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়েছে।
বিরোধী দলের সমর্থক আলি ইজার বলেন, “আমরা আমাদের ভোটে নির্বাচিত মেয়রকে এভাবে গ্রেফতার করা মেনে নিতে পারি না। এটা কোনো গণতান্ত্রিক আচরণ নয় এবং আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
এদিকে, মেয়রের গ্রেফতারের পর তুরস্কের মুদ্রা লিরার বিনিময় হারে কিছুটা দরপতন হয়। ব্যাংক শেয়ারের দামও কমে যায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাৎক্ষণিকভাবে সুদের হার বাড়িয়েছে। ইমামোগলুর মালিকানাধীন একটি নির্মাণ সংস্থা কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে এবং এর নিয়ন্ত্রণ আদালতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৩ সালে এরদোগান সরকারের বিরুদ্ধে গেজি পার্কের প্রতিবাদ হয়, যা দমন করতে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিল।
তথ্য সূত্র: সিএনএন