যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত হওয়া অভিবাসীদের গ্রহণ করতে রাজি হয়েছে উগান্ডা। তবে এর কিছু শর্ত রয়েছে। দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিতাড়িত হওয়া ব্যক্তিদের কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড থাকা চলবে না এবং তারা নাবালকও হতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।
উগান্ডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুই পক্ষ কিভাবে এই চুক্তির বাস্তবায়ন করবে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলছে। খবর অনুযায়ী, বিতাড়িত অভিবাসীদের মধ্যে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক হলে উগান্ডা সরকার তাদের গ্রহণ করতে বেশি আগ্রহী।
তবে এখনো পর্যন্ত চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়েছে।
উগান্ডার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী হেনরি ওকালো ওরিয়ম এপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, আশ্রয়প্রার্থীদের প্রতি তাদের দেশের উদার নীতি বিশ্বজুড়ে পরিচিত। তবে এর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন এমন লোকেদের তারা গ্রহণ করবে, যাদের নিজ দেশই প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি চক্রের কথা বলছি, যাদের নিজ দেশেও কোনো জায়গা নেই। তাদের কিভাবে উগান্ডার স্থানীয় সমাজে একীভূত করা সম্ভব?”
মন্ত্রী আরও জানান, ভিসা, শুল্ক এবং নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীদের গ্রহণ করার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। তিনি মনে করেন, এমনটা করা হলে তা উগান্ডার নাগরিকদের প্রতি অবিচার করা হবে।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্র ইএসওয়াতিনি ও দক্ষিণ সুদানে অপরাধমূলক ব্যাকগ্রাউন্ডের পাঁচজন এবং আরও আটজনকে বিতাড়িত করে।
তথ্য সূত্র: এপি