যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছে, গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান এবং পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতার কারণে। মঙ্গলবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘোষণা দেয়।
একইসঙ্গে, যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েলের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা অবিলম্বে স্থগিত করা হয়েছে। তারা আরও জানায়, বর্তমান নেতানিয়াহু সরকারের অধীনে, পশ্চিম তীর ও গাজায় বিতর্কিত নীতি গ্রহণের কারণে নতুন, উন্নত এফটিএ নিয়ে আলোচনা করা সম্ভব নয়।
গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত, টিzipুরা হোতোভেলিকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক ব্রিটিশ মন্ত্রী হ্যামিশ ফ্যালকনর রাষ্ট্রদূতকে জানান, গাজায় সামরিক কর্মকাণ্ডের ‘অত্যধিক’ বিস্তার এবং ১১ সপ্তাহ ধরে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে ব্রিটিশ সরকার উদ্বিগ্ন।
তিনি ইসরায়েলকে বসতি স্থাপন ও পশ্চিম তীরে সহিংসতার অবসান ঘটাতে আহ্বান জানান।
ফ্যালকনর আরও বলেন, “আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলতে এবং গাজার জনগণের জন্য দ্রুত, নিরাপদ ও বাধাহীনভাবে মানবিক সহায়তা সরবরাহ করতে হবে ইসরায়েলকে। বর্তমানে যে সীমিত পরিমাণ ত্রাণ প্রবেশ করছে, তা যথেষ্ট নয়।”
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি মঙ্গলবার আইনপ্রণেতাদের জানান, সরকার অক্টোবরে সাতটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। তিনি বলেন, “এখানেও আমাদের আরও কিছু করতে হবে। তাই, আজ আমরা বসতি স্থাপন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত আরও তিনজন ব্যক্তি ও চারটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছি।
ল্যামি যোগ করেন, “যারা মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন করছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।”
যুক্তরাজ্যের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের প্রেক্ষাপটে এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ, এর মাধ্যমে গাজায় সামরিক তৎপরতা এবং পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন নিয়ে যুক্তরাজ্যের গভীর উদ্বেগের বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে।
উল্লেখ্য, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) উভয় দেশের মধ্যে শুল্ক হ্রাস করে বাণিজ্য বাড়াতে সহায়তা করে।
বর্তমানে, পরিস্থিতি বিবেচনা করে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা কবে নাগাদ পুনরায় শুরু হবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যায়নি।
তথ্য সূত্র: সিএনএন