ভুল! মুক্তি পাওয়া আসামি, যুক্তরাজ্যে ফের অস্থিরতা!

যুক্তরাজ্যে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায়, ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের দায়ে ১২ মাসের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ইথিওপীয় এক আশ্রয়প্রার্থীকে ভুল করে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ব্রিটিশ সরকারে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং অভিযুক্তকে পুনরায় আটকের জন্য জরুরি ভিত্তিতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

ছেচল্লিশ বছর বয়সী হাডুশ গারবারসলাসি কেবাতু নামের ওই ব্যক্তির মুক্তির খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়। জানা যায়, গেল গ্রীষ্মকালে কেবাতুর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে কেন্দ্র করে যুক্তরাজ্যে অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভ দেখা দিয়েছিল।

দেশের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার এই ঘটনাকে ‘পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে বর্ণনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “পুলিশ তাকে খুঁজে বের করতে তৎপরতা চালাচ্ছে এবং সরকার তাদের সহযোগিতা করছে। এই ব্যক্তিকে অবশ্যই গ্রেপ্তার করে তার অপরাধের জন্য ফেরত পাঠানো উচিত।”

এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে, একজন কারা কর্মকর্তাকে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত মাসে কেবাতুকে যৌন নিপীড়ন, এক কিশোরীকে যৌনকর্মে প্ররোচিত করা এবং হয়রানির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন কেবাতুকে একটি ১৪ বছর বয়সী কিশোরীর কাছে যাওয়ার সময় আটক করা হয়। অভিযোগ, তিনি কিশোরীকে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেন এবং তার শরীরে হাত দেন। এমনকি, সেখানে উপস্থিত একজন নারীর সাথেও তিনি খারাপ আচরণ করেন।

এরপর, কেবাতুকে গ্রেফতারে পর দেশটির বিভিন্ন শহরে অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভকারীরা অভিবাসন প্রত্যাশীদের আশ্রয় দেয়ার জন্য ব্যবহৃত হোটেলগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। অন্যদিকে, অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভের বিপরীতে ‘স্ট্যান্ড আপ টু রেসিজম’ নামক একটি সংগঠন পাল্টা বিক্ষোভ করে।

কেবাতুর আইনজীবী জানিয়েছেন, কারামুক্তির পর তার মক্কেলকে নিজ দেশ ইথিওপিয়ায় ফেরত পাঠানো হোক।

যুক্তরাজ্যে বর্তমানে অবৈধ অভিবাসন একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। বিশেষ করে, ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আসা হাজারো অভিবাসন প্রত্যাশীর কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।

সরকার আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য হোটেল ব্যবহারের যে নীতি গ্রহণ করেছে, তারও কড়া সমালোচনা হচ্ছে। সমালোচকদের মতে, এতে করদাতাদের বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হয় এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ভীতি তৈরি হয়।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *