গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ, ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ!

যুক্তরাজ্য সরকার ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান এবং পশ্চিম তীরে তাদের নীতির কারণে দেশটির সঙ্গে নতুন বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছে। মঙ্গলবার ব্রিটিশ সরকার জানায়, তারা ইসরায়েলের বসতি স্থাপনকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে।

একইসঙ্গে, ফিলিস্তিনিদের উপর সহিংসতার সঙ্গে জড়িত সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় কয়েকশ’ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এবং নতুন করে স্থল অভিযান শুরুর কারণে যুক্তরাজ্য এই পদক্ষেপ নিল।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার গাজায় শিশুদের “অসহনীয়” কষ্টের কথা উল্লেখ করে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।

লেবার সরকার ফিলিস্তিনিদের প্রতি যথেষ্ট সমর্থন না দেওয়ায় দেশে তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছে। গাজায় অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনিরা যখন খাদ্য সংকটে ভুগছে, তখন তাদের সমর্থনে নিয়মিত বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মদদে বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা বেড়েছে, সেই সঙ্গে সামরিক বাহিনীও সেখানে প্রতিদিন অভিযান চালাচ্ছে।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রসচিব ডেভিড ল্যামি জানান, বিদ্যমান বাণিজ্য চুক্তি বহাল থাকলেও, গাজা ও পশ্চিম তীরে “জঘন্য নীতি” অনুসরণকারী ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে নতুন কোনো আলোচনা শুরু করা সম্ভব নয়।

ল্যামি আরও বলেন, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতার লাগাতার চক্রের অবসান হওয়া দরকার।

এর আগে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি, এখন তিনজন ব্যক্তি, দুটি অবৈধ বসতি স্থাপন কেন্দ্র এবং ফিলিস্তিনি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা সমর্থনকারী দুটি সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

ব্রিটিশ সরকারের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য আলোচনা অগ্রসর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা ছিল না।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাজ্যের এই নিষেধাজ্ঞাগুলোকে “অযৌক্তিক ও দুঃখজনক” হিসেবে বর্ণনা করেছে।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *