টয়লেট ব্যবহারের নতুন নির্দেশিকা: ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য কী সমাধান?

যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার বিষয়ক একটি সংস্থা, ইক্যুয়ালিটিজ ওয়াচডগ, সম্প্রতি এক নির্দেশিকায় জানিয়েছে, লিঙ্গ পরিবর্তনের অধিকার রয়েছে এমন ব্যক্তিরা শৌচাগার ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিভাবে সুযোগ সুবিধা পাবেন। ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ের পর এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যেখানে ‘নারী’ এবং ‘লিঙ্গ’ বিষয়ক ধারণাগুলো সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।

নতুন এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কর্মক্ষেত্র অথবা দোকান ও হাসপাতালের মতো পাবলিক প্লেসে রূপান্তরকামী (ট্রান্স) নারীদের মেয়েদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে জৈবিক পুরুষ থেকে নারী হওয়া ট্রান্স-পুরুষদের ক্ষেত্রেও।

তাদের পুরুষদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।

তবে, ওয়াচডগ বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে, কোনো ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিকে যেন কোনো ধরণের শৌচাগার ব্যবহার থেকে বঞ্চিত করা না হয়।

তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রাখতে হবে।

এই নির্দেশিকার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সংস্থাটি জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে অনেকের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে, এই রায়ের ফলে ট্রান্স সম্প্রদায়ের মানুষেরা কিভাবে প্রভাবিত হবেন, সেই বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়া প্রয়োজন।

নির্দেশিকা অনুযায়ী, আট বছরের বেশি বয়সী ছেলে ও মেয়েদের জন্য স্কুলগুলোতে আলাদা শৌচাগার ও পোশাক পরিবর্তন করার স্থান তৈরি করতে হবে। ট্রান্স শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত বিকল্প ব্যবস্থা রাখারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

যেমন, ট্রান্স নারী শিক্ষার্থীদের মেয়েদের শৌচাগার বা পোশাক পরিবর্তন করার স্থান ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। আবার, যারা ট্রান্স পুরুষ, অর্থাৎ জন্মগতভাবে নারী, তাদের ছেলেদের শৌচাগার ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে না।

এছাড়াও, ২৫ বা তার বেশি সদস্যের খেলাধুলার ক্লাব বা অন্য কোনো সংগঠনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র জৈবিক পুরুষ অথবা নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ রাখা যেতে পারে। এই ধরনের ক্লাবগুলো তাদের সদস্যপদ দেওয়ার ক্ষেত্রে দুটি বিষয়কে বিবেচনায় রাখতে পারবে।

উদাহরণস্বরূপ, একটি নারী লেসবিয়ানদের ক্লাব চাইলে ট্রান্স নারীদের সদস্যপদ নাও দিতে পারে।

ইক্যুয়ালিটিজ ওয়াচডগ জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর তারা একটি বিস্তারিত নীতিমালা তৈরির কাজ করছে।

আগামী জুন মাসের মধ্যে সরকারের অনুমোদনের জন্য এটি পেশ করা হতে পারে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *