বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার এক দারুণ উপায় হলো সাঁতার। আর যুক্তরাজ্যের কিছু জায়গায় এমন সব স্থান রয়েছে যেখানে প্রকৃতির মাঝে সাঁতারের অভিজ্ঞতা সত্যিই অসাধারণ।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের একটি প্রতিবেদনে তেমনই সাতটি মনোমুগ্ধকর স্থানের কথা তুলে ধরা হয়েছে, যা ভ্রমণ প্রেমীদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
প্রথমেই আসা যাক স্কটল্যান্ডের আইল অফ স্কাই-এর ‘ফেইরি পুলস’-এর (Fairy Pools) কথা। এখানকার স্বচ্ছ নীল জলে পাহাড়ের প্রতিবিম্ব যেন এক মায়াবী জগৎ তৈরি করে।
এখানকার জল এতটাই স্বচ্ছ যে, জলের নিচের নুড়ি পাথরগুলোও স্পষ্ট দেখা যায়। এখানে সাঁতার কাটার অভিজ্ঞতা সত্যিই অন্যরকম।
এরপর ওয়েলসের অ্যাঙ্গেলসি-র (Anglesey) লান্ডউইন দ্বীপের (Llanddwyn Island) কথা বলতে হয়। এখানকার সমুদ্র সৈকত, বালুকাময় ভূমি এবং লাইটহাউস এর দৃশ্য যে কারো মন জয় করে নিবে।
এছাড়াও, এখানে সেন্ট ডাউইনওয়েন এর ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি চ্যাপেল রয়েছে যা যুগলদের কাছে তীর্থস্থান হিসাবে পরিচিত।
কর্নের ওয়ালে অবস্থিত ডারগান (Durgan)। এখানকার সবুজ জল এবং চারপাশের পুরনো বনভূমি এটিকে বিশেষ করে তুলেছে।
গল্প প্রেমীদের জন্য এই স্থানটি যেন এক কল্পনার জগৎ। এখানে ড্যাফনে ডু মুরিয়ার মত বিখ্যাত সাহিত্যিক এর স্মৃতি বিজরিত স্থান বিদ্যমান।
কর্নের ওয়ালে আরো একটি আকর্ষণীয় স্থান হলো বুডে সি পুল (Bude Sea Pool)। এখানে সমুদ্রের ঢেউ থেকে নিরাপদ একটি স্থানে সাঁতার কাটার সুযোগ রয়েছে।
এছাড়াও, এখানে শিশুদের সাঁতার শেখারও ব্যবস্থা আছে।
লেক জেলার (Lake District) ব্ল্যাক মসের (Black Moss Pot) গভীর গর্জটি সাঁতারপ্রেমীদের জন্য একটি আদর্শ স্থান। এখানকার স্বচ্ছ জলে ডুব দেওয়ার মজাই আলাদা।
যারা শহরের কোলাহল থেকে দূরে প্রকৃতির কাছাকাছি সময় কাটাতে চান, তাদের জন্য লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড হিথ পন্ডস (Hampstead Heath Ponds) হতে পারে দারুণ একটি গন্তব্য। এখানে তিনটি পুকুর রয়েছে – নারীদের জন্য, পুরুষদের জন্য এবং মিশ্র পুকুর।
সবশেষে, ফাইফ-এর (Fife) সেলার্ডাইক টাইডাল পুলের (Cellardyke Tidal Pool) কথা বলতে হয়। এখানকার সমুদ্রের ধারে তৈরি হওয়া এই পুলটি স্থানীয়দের দ্বারা সুন্দরভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।
এখানে সন্ধ্যায় সূর্যের আলোয় জলের রঙ পাল্টে যায়, যা সাঁতারের অভিজ্ঞতাকে আরও স্মরণীয় করে তোলে।
যুক্তরাজ্যের এই স্থানগুলো, প্রকৃতির কাছাকাছি সাঁতার কাটার এক দারুণ সুযোগ করে দেয়। যারা ভ্রমণ ভালোবাসেন, তারা তাদের পরবর্তী ভ্রমণে এই স্থানগুলো বিবেচনা করতে পারেন।
তথ্য সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক