ইউক্রেন অভিযোগ করেছে যে রাশিয়ার ঘোষিত তিন দিনের যুদ্ধবিরতি শুরুর পরই দেশটির সুমি অঞ্চলে বোমা হামলা চালানো হয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানায়, স্থানীয় সময় মধ্যরাতের পর থেকে, যখন পুতিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, রাশিয়ার বিমান বাহিনী সুমি অঞ্চলের ওপর তিনবার গাইডেড বোমা নিক্ষেপ করেছে।
এই যুদ্ধবিরতির মূল উদ্দেশ্য ছিল কিয়েভের সঙ্গে শান্তি আলোচনার সম্ভাবনা যাচাই করা।
তবে ইউক্রেন এটিকে একটি প্রহসন হিসেবে বর্ণনা করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে রাজি হননি।
তিনি বুধবার এক ভিডিও বার্তায় জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে তার দেশ ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি পালনের প্রস্তাব এখনো বহাল রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়া তাদের প্রস্তাবের কোনো জবাব দেয়নি, বরং নতুন করে হামলা চালিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় পক্ষকে শান্তি আলোচনার জন্য চাপ দিচ্ছে এবং তারা মার্চ মাসে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়।
কিন্তু রাশিয়া জানায়, এই ধরনের পদক্ষেপ কার্যকর করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
পরে তারা মানবিক কারণ দেখিয়ে তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে।
বৃহস্পতিবার ভোরে ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী জানায়, গাইডেড বোমা নিক্ষেপ ছাড়া রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইউক্রেনের শহরগুলোতে দূরপাল্লার ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ক্রেমলিন জানিয়েছে, রাশিয়া এই ছুটির সময় পুতিনের নির্দেশ মেনে চলবে, তবে ইউক্রেন কোনো ধরনের আক্রমণ চালালে তাৎক্ষণিকভাবে জবাব দেওয়া হবে।
এদিকে, এই বিজয় দিবস উপলক্ষে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মস্কোতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
এছাড়াও, ৯ মে মস্কোর রেড স্কয়ারে সামরিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
পুতিনের যুদ্ধবিরতি শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে মস্কো ও কিয়েভ উভয় স্থানেই বিমান হামলা চালানো হয়, যার ফলে রাশিয়ার বিমানবন্দরে উড়ান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং ইউক্রেনে অন্তত দুজন নিহত হয়।
বুধবারের ভিডিও ভাষণে জেলেনস্কি ইঙ্গিত দেন, ইউক্রেনও রাশিয়ার কিছু স্থাপনায় আঘাত হেনেছে।
তিনি বলেন, “আগ্রাসকের আকাশেও যে আজ শান্তি নেই, এটা খুবই স্বাভাবিক।”
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা