ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে একজন শীর্ষস্থানীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে হত্যার অভিযোগে জড়িত সন্দেহে দুই রুশ এজেন্টকে হত্যা করেছে ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এসবিইউ)। এসবিইউ’র দাবি, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি)-এর হাত রয়েছে।
রবিবার এক বিবৃতিতে এসবিইউ জানায়, গত সপ্তাহে কিয়েভে নিহত হওয়া এসবিইউ কর্মকর্তা ইভান ভোরোনিচের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে তারা সনাক্ত করে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হত্যাকাণ্ডের পর সন্দেহভাজনরা আত্মগোপনের চেষ্টা করেছিল।
তবে এসবিইউ এবং জাতীয় পুলিশের সদস্যরা কিয়েভ অঞ্চলের একটি স্থানে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে।
এসবিইউ প্রধান ভাসিল মালিউক এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “গোপন তদন্ত এবং সক্রিয় কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স কার্যক্রমের ফলস্বরূপ, আমরা শত্রুদের আস্তানা খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, “তাদের গ্রেফতার করতে গেলে তারা প্রতিরোধ করে, এরপর উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয় এবং অবশেষে ওই দু’জনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
ভিডিওটিতে মৃতদেহগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে মালিউক বলেন, “আমি আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ইউক্রেনের ভূখণ্ডে শত্রুদের একমাত্র পরিণতি হলো মৃত্যু।
এসবিইউ’র ভাষ্যমতে, ওই দুই এজেন্টকে ভোরোনিচের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে তার দৈনন্দিন রুটিন তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
এরপর তাদের একটি নিরাপদ স্থানে পাঠানো হয়, যেখানে তাদের জন্য একটি সাইলেন্সার যুক্ত পিস্তল রাখা ছিল।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে এসবিইউ।
গত মাসে রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলার পেছনেও তাদের হাত ছিল।
এই হত্যাকাণ্ড এমন এক সময়ে ঘটল, যখন রাশিয়া ইউক্রেনের উপর তাদের হামলা তীব্র করেছে।
চলমান যুদ্ধে, যা চতুর্থ বছরে পড়েছে, এই সপ্তাহে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন