যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আবারও রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা, নিহত অন্তত ১২।
ইউক্রেনে গত দুই দিন ধরে চলা রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ জনে। স্থানীয় সময় অনুযায়ী রবিবার ভোরে রাজধানী কিয়েভ সহ দেশটির বিভিন্ন শহরে এই হামলা চালানো হয়।
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে বন্দী বিনিময়ের আলোচনার মধ্যেই এই হামলা চালানো হলো।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রবিবার ভোর রাতে রাশিয়া ২৯৮টি ড্রোন এবং ৬৯টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। দেশটির বেশ কয়েকটি অঞ্চলে এই হামলা চালানো হয়েছে।
কিয়েভে অন্তত ৪ জন নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া ঝাইতোমির অঞ্চলে তিনজন শিশু নিহত হয়েছে, যাদের বয়স ছিল যথাক্রমে ৮, ১২ ও ১৭ বছর।
দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মাইকোলাইভে নিহত হয়েছে আরও একজন। খমেলনিটস্কি অঞ্চলে হামলায় নিহত হয়েছে আরও চারজন।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে বড় রুশ বিমান হামলা।
রাজধানী কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিস্টকো জানিয়েছেন, ডজন খানেক ড্রোন শহরের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল। কিয়েভের একটি ছাত্রাবাস, একটি আবাসিক ভবন এবং ডিনিপ্রোভস্কি জেলার একটি বাড়িতে হামলার খবর পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনের ছোড়া ১১০টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন জানিয়েছেন, রাশিয়ার রাজধানী অভিমুখে আসা ১২টি ড্রোনকে প্রতিহত করা হয়েছে। রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজধানী মস্কোর শেরেমতোভো সহ কমপক্ষে চারটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষই বর্তমানে বন্দী বিনিময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে উভয় পক্ষ ১০০০ জন করে যুদ্ধবন্দী ও বেসামরিক বন্দী বিনিময়ের বিষয়ে রাজি হয়েছে। শনিবার উভয় দেশ মিলে প্রায় ৭০০ জনের বেশি সেনাকর্মী ও বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রবিবারও মুক্তি প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকতে পারে।
ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধে রাশিয়া-ইউক্রেন একে অপরের বিরুদ্ধে প্রায়ই হামলার অভিযোগ করে আসছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা