যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে বন্দী বিনিময়ের এক বিশাল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উভয় পক্ষই কয়েকশো বন্দীকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে, যা কয়েক দিন ধরে চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইউক্রেনীয় সূত্র মারফত জানা গেছে, উভয় দেশ প্রায় ১০০০ জন করে বন্দীকে মুক্তি দেবে।
গত সপ্তাহে ইস্তাম্বুলে কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে আলোচনার পর এই বিনিময় প্রক্রিয়া শুরু হলো। ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রায় আগ্রাসনের পর এই প্রথম দুই পক্ষের মধ্যে সরাসরি আলোচনা হলো।
যদিও ইস্তাম্বুলের আলোচনায় উল্লেখযোগ্য কোনো ফল আসেনি, তবে বন্দী বিনিময়কে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইউক্রেনীয় পরিবারগুলোর জন্য, বিশেষ করে যাদের স্বজনরা বন্দী ছিল, তাদের জন্য এই খবর নিঃসন্দেহে স্বস্তি নিয়ে এসেছে।
এর আগে, চলতি মাসের শুরুতে বন্দী বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছিল। ইউক্রেনের যুদ্ধবন্দী বিষয়ক সমন্বয় সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ৭ই মে-র বিনিময় ছিল চলতি বছরে পঞ্চম এবং রাশিয়ার পূর্ণমাত্রায় আগ্রাসনের শুরু থেকে ৬৪তম।
ওই সময় প্রায় ২০০ জনের বেশি ইউক্রেনীয় সেনা দেশে ফিরে আসে। দপ্তরটি আরও জানায়, মার্চ ২০২২ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৪,৭৫৭ জন ইউক্রেনীয় নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
ইস্তাম্বুলের বৈঠকে ইউক্রেন অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার দাবি জানালেও, তা পূরণ হয়নি। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল।
তবে শেষ পর্যন্ত এর কোনো ফল আসেনি। বন্দী বিনিময় নিঃসন্দেহে একটি মানবিক পদক্ষেপ, যা উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে সহায়ক হবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন