ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে মিত্র দেশগুলোর মধ্যে আলোচনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। যুক্তরাজ্য ও জার্মানির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটোর শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কর্মকর্তারা অংশ নেন।
বৈঠকটি মূলত ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখার বিষয়ে আলোচনা করার জন্য ডাকা হয়েছিল। খবরটি দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা, এসোসিয়েটেড প্রেস (Associated Press)।
বৈঠকের মূল বিষয় ছিল ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র সরবরাহ নিশ্চিত করা। বিশেষ করে, উন্নত প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্প্রতি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন, তারা যেন ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করে। ট্রাম্পের এমন ঘোষণার পর অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে আলোচনার গুরুত্ব আরও বেড়েছে।
ট্রাম্প এর আগে বলেছিলেন, কয়েক দিনের মধ্যেই ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ শুরু হবে।
তবে, বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এখনও পর্যন্ত অস্ত্র সরবরাহ শুরু হয়নি। জার্মানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ইউক্রেনকে দুটি নতুন প্যাট্রিয়ট ব্যবস্থা সরবরাহ করতে অর্থায়ন করবে।
এছাড়া, জার্মানি তাদের নিজস্ব মজুত থেকে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করারও সম্ভাবনা বিবেচনা করছে। তবে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সরবরাহ করতে কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
অন্যদিকে, সুইজারল্যান্ডও ইউক্রেনকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে। তারা মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগকে জানিয়েছে, তারা পূর্বে অর্ডার করা পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইউক্রেনে পাঠাতে প্রস্তুত।
সামরিক সহায়তা ছাড়াও, বৈঠকে ইউক্রেনকে অন্যান্য সামরিক সাহায্য, যেমন গোলাবারুদ এবং আর্টিলারি রাউন্ড সরবরাহ করার বিষয়েও আলোচনা হয়। ন্যাটোর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, এই সাহায্য কার্যক্রমের সমন্বয় এখনও চলছে।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তারা এই সপ্তাহে নতুন করে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত আলোচনার কোনো তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, তুরস্কের ইস্তাম্বুলে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত, তবে তাদের লক্ষ্য পূরণই প্রধান বিবেচ্য বিষয়।
তথ্য সূত্র: Associated Press