যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, কিয়েভে নিহত অন্তত ১২।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ২১ ও ১৯ বছর বয়সী এক ভাই-বোন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলার জন্য উত্তর কোরিয়াকে দায়ী করেছেন। তিনি জানান, প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি উত্তর কোরিয়ায় তৈরি করা হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি কূটনৈতিক সফর সংক্ষিপ্ত করে জরুরি ভিত্তিতে ইউক্রেনে ফিরে আসেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তিনি উত্তর কোরিয়ার প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “যদি নিশ্চিত হওয়া যায় যে ক্ষেপণাস্ত্রটি উত্তর কোরিয়ায় তৈরি, তাহলে এটি হবে রাশিয়া ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যেকার অপরাধমূলক জোটের আরও একটি প্রমাণ। তারা একসঙ্গে মানুষ হত্যা করে এবং জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে।”
এদিকে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রতি হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, “ভ্লাদিমির, থামুন!” হোয়াইট হাউজও এই যুদ্ধ বন্ধের জন্য চাপ বাড়ানোর কথা জানিয়েছে।
অন্যদিকে, ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ বরিস জনসন ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবকে ইউক্রেনের জন্য ‘কিছুই নয়’ বলে উল্লেখ করেছেন। জনসন এক টুইটে বলেন, “পুতিন নির্বিচারে আরও ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করছেন, কিয়েভে শিশুদেরসহ ১০০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা ও আহত করেছেন। আর তাঁর পুরস্কার হিসেবে শান্তি প্রস্তাবে কী আছে? ১. তিনি যে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড জোর করে দখল করেছেন, তা তাঁর কাছেই থাকবে, যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।”
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, মস্কো একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে প্রস্তুত, তবে কিছু নির্দিষ্ট বিষয় রয়েছে যেগুলো এখনও চূড়ান্ত করতে হবে।
এছাড়াও, জানা গেছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বন্ধু, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী স্টিভ উইটকফ শুক্রবার রাশিয়ায় যাওয়ার কথা রয়েছে এবং সেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন।
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সম্প্রতি বিতর্কিত হয়ে ওঠা একটি বিষয় হলো, ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের সন্দেহ, রাশিয়ার হাতে বন্দী অবস্থায় এক ইউক্রেনীয় সাংবাদিককে নির্যাতন করা হয়েছে। জানা গেছে, সাংবাদিক ভিক্টোরিয়া রশচিনা গত বছর সেপ্টেম্বরে পূর্বাঞ্চলে রুশ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সংবাদ সংগ্রহের সময় নিখোঁজ হন এবং পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান