যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অনিশ্চয়তা! তুরস্কের বৈঠকে কি রাজি ইউক্রেন?

ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য তুরস্কের ইস্তাম্বুলে আগামী সপ্তাহে একটি বৈঠকের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে, ইউক্রেন এখনো পর্যন্ত এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি।

তারা রাশিয়ার পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবগুলো লিখিত আকারে পেতে চাইছে, যাতে আলোচনার বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানান, রাশিয়া আলোচনার বিষয়ে কতটা আন্তরিক, তা যাচাই করার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

এর আগে, গত ১৬ই মে ইস্তাম্বুলে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই বৈঠকে কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি, তবে বন্দিবিনিময় এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরির বিষয়ে উভয়পক্ষ রাজি হয়েছিল।

ইউক্রেন জানায়, তারা রাশিয়ার কাছ থেকে এমন কোনো প্রস্তাব পায়নি, যেখানে যুদ্ধবিরতির বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে।

বৈঠকটি সফল হলে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের তত্ত্বাবধানে একটি শীর্ষ বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, ক্রেমলিন জানিয়েছে, দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ফলপ্রসূ হলেই কেবল এই ধরনের শীর্ষ বৈঠক সম্ভব।

এদিকে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ইস্তাম্বুলের বৈঠকে দুই পক্ষের প্রস্তাবগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে, তবে আলোচনার বিস্তারিত বিষয় জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তারা ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে রাশিয়ার উদ্বেগকে বিবেচনা করছে। উল্লেখ্য, ন্যাটো হলো উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট।

ইউক্রেন চায়, চলতি বছরের মধ্যেই এই যুদ্ধ শেষ করতে। তারা ৩০ দিন, ৫০ দিন বা ১০০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি নিয়েও আলোচনা করতে প্রস্তুত। ইউক্রেন সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করতে চায় এবং তারা গত বৈঠকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা, france24, Reuters

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *