ডিজিবাউটির উপকূলে মর্মান্তিক ঘটনা! নৌদুর্ঘটনায় ৮ অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু!

ভূমধ্যসাগরে অভিবাসন প্রত্যাশীদের জীবনহানির ঘটনা নতুন নয়। এবার আটজন অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, আর নিখোঁজ রয়েছেন আরও বাইশ জন।

ঘটনাটি ঘটেছে জিবুতির উপকূলের কাছে, যেখানে পাচারকারীদের নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে একটি নৌক থেকে জোর করে নামিয়ে দেওয়া হয় প্রায় দেড়শো জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে এই খবর।

জানা গেছে, গত ৫ই জুন, জিবুতির উপকূলের কাছে পাচারকারীরা একটি নৌক থেকে প্রায় ১৫০ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে নামতে বাধ্য করে। এরপর তাদের সাঁতরে তীরে উঠতে বলা হয়।

আইওএমের টহল দল মরুভূমিতে সন্ধান চালিয়ে অভিবাসন প্রত্যাশীদের কয়েকজনকে উদ্ধার করে এবং তাদের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যায়। কিন্তু এর মধ্যেই আট জন মারা যান এবং এখনো বাইশ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

আইওএম এবং জিবুতির কর্তৃপক্ষ নিখোঁজদের উদ্ধারের জন্য যৌথভাবে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। আইওএমের পূর্ব, হর্ন ও দক্ষিণ আফ্রিকার আঞ্চলিক পরিচালক সেলেস্টিন ফ্রাঞ্জ এক বিবৃতিতে বলেন, “সমুদ্রে জীবনহানির প্রতিটি ঘটনাই একটি ট্র্যাজেডি, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।”

তিনি আরও জানান, পাচারকারীরা অভিবাসন প্রত্যাশীদের জীবন নিয়ে কোনো ধরনের তোয়াক্কা করে না এবং তাদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে যা একেবারেই অমানবিক।

প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ উন্নত জীবনের আশায় আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ এশিয়া থেকে ইউরোপ এবং উপসাগরীয় দেশগুলোতে পাড়ি জমাতে চেষ্টা করে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দালালদের মাধ্যমে তারা সমুদ্রপথে যাত্রা করে।

অনেক সময় পাচারকারীরা অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে নৌকায় তোলে, যা এই ধরনের দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।

সাধারণত, পূর্ব আফ্রিকা ও আফ্রিকার হর্ন অঞ্চল থেকে আসা অভিবাসন প্রত্যাশীরা কাজের সন্ধানে উপসাগরীয় দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য ইয়েমেনকে প্রধান পথ হিসেবে ব্যবহার করে। প্রতি বছর কয়েক লক্ষ মানুষ এই পথ পাড়ি দেয়।

জিবুতির এই ঘটনা আবারও অভিবাসন প্রত্যাশীদের জীবন নিয়ে পাচারকারীদের নিষ্ঠুর ব্যবসার ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *