জাতিসংঘের একজন বিচারক, যিনি একইসাথে উগান্ডার হাইকোর্টের বিচারপতিও ছিলেন, যুক্তরাজ্যের আদালতে এক তরুণীকে দাস হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এই অপরাধের জন্য তাকে ছয় বছর চার মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার শিকার হওয়া ওই তরুণীও উগান্ডার নাগরিক।
জানা গেছে, অভিযুক্ত লydia Mugambe নামের ওই নারী যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পিএইচডি করছিলেন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তিনি ভিকটিমকে দিয়ে গৃহকর্মীর কাজ করাতেন এবং তার সন্তানের দেখাশোনা করতে বাধ্য করতেন।
আদালত সূত্রে খবর, বিচারক মুগাম্বে তার ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করেছেন।
আদালতে শুনানিতে বিচারক জানান, এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি তার কৃতকর্মের জন্য বিন্দুমাত্র অনুশোচনা প্রকাশ করেননি। উল্টো তিনি ভুক্তভোগীকে দোষারোপ করার চেষ্টা করেছেন।
আদালত মুগাম্বের প্রতি ভুক্তভোগীর সাথে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে কোনো প্রকার যোগাযোগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
মামলার শুনানিতে ভুক্তভোগী নারী আদালতের কাছে তার উদ্বেগের কথা জানান। তিনি বলেন, মুগাম্বের ক্ষমতা ও প্রভাবের কারণে তিনি বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
তিনি আরও জানান, নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কারণে তিনি উগান্ডায় ফিরতে পারছেন না এবং সম্ভবত কখনোই মায়ের সাথে দেখা করতে পারবেন না।
আদালতে সরকারি কৌঁসুলি জানান, মুগাম্বে ভুক্তভোগীকে তার কাজের অধিকার সম্পর্কে অন্ধকারে রেখে এবং যুক্তরাজ্যে আসার আসল কারণ গোপন করে তার দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছেন।
ভুক্তভোগীকে যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, কারণ তিনি উগান্ডায় নিপীড়নের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে ছিলেন।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর, মুগাম্বে জাতিসংঘের বিচারক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, তিনি ২০২৩ সালের মে মাসে জাতিসংঘের বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান