জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (UNHCR) সম্প্রতি জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে সহিংসতা ও নিপীড়নের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১২ কোটিরও বেশি। এটি গত বছরের তুলনায় প্রায় ২০ লক্ষ বেশি এবং এক দশকের আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার ‘বৈশ্বিক প্রবণতা প্রতিবেদন’-এ বলা হয়েছে, এপ্রিল মাস পর্যন্ত যুদ্ধ, সহিংসতা ও নির্যাতনের কারণে নিজ দেশ অথবা অন্য দেশে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ২১ লক্ষে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১২ কোটি।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছর অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ৯ শতাংশের বেশি বেড়ে ৭ কোটি ৩৫ লক্ষে পৌঁছেছে। শরণার্থীদের এই সংখ্যাগুলো বিভিন্ন সময়ের সংঘাত, সহিংসতা ও নির্যাতনের ফল। তবে, গত বছর কিছু বাস্তুচ্যুত মানুষ আবার নিজ দেশে ফিরে গিয়েছেন।
সংস্থাটি জানিয়েছে, সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ প্রায় এক দশক ধরে চলার পর সেখানকার প্রায় ২০ লাখ মানুষ যখন ধীরে ধীরে তাদের বাড়িতে ফিরছেন, তখন কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে।
তবে, উদ্বাস্তুদের বৃহত্তম সংকটের কেন্দ্র বর্তমানে সুদান। সেখানে ১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সিরিয়ায় এই সংখ্যা ১ কোটি ৩৫ লাখ। এছাড়াও, আফগানিস্তানে ১ কোটির বেশি এবং ইউক্রেনে প্রায় ৮৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সীমান্ত অতিক্রম করে আসা উদ্বাস্তুদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। উন্নত দেশগুলোতে আশ্রয়প্রার্থীদের একটি বড় অংশ ইউরোপ বা যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চায় বলে যে ধারণা প্রচলিত আছে, এই তথ্যের মাধ্যমে তা খণ্ডন করা হয়েছে।
বর্তমানে, অনেক মানবিক সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশ থেকে বাজেট কাটছাঁটের সম্মুখীন হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে বাস্তুচ্যুতির এই বিশাল চিত্র একটি গুরুতর উদ্বেগের কারণ।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস