যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যে একটি ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হওয়ার পর ইউনাইটেড পার্সেল সার্ভিস (ইউপিএস) এবং ফেডএক্স তাদের বহরে থাকা ম্যাকডনেল ডগলাস এমডি-১১ বিমানগুলো গ্রাউন্ড করেছে। মঙ্গলবার লুইভিলে অবস্থিত ইউপিএস-এর বিশ্ব-বন্দর (Worldport) কেন্দ্রে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে তিনজন ছিলেন বিমানের পাইলট। বিমানটি হনুলুলুর উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা ছিল।
দুর্ঘটনার পর সতর্কতা হিসেবে ইউপিএস এবং ফেডএক্স উভয় সংস্থাই তাদের এমডি-১১ বিমান বহর স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিমান প্রস্তুতকারক বোয়িং-এর পরামর্শে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইউপিএস-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের কর্মী এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার নিরাপত্তা তাদের কাছে সবার আগে। ফেডএক্সও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রস্তুতকারকের সুপারিশের ভিত্তিতে তারা বিমানের নিরাপত্তা পর্যালোচনা করবে।
ইউপিএস-এর বিমান বহরের প্রায় ৯ শতাংশ এবং ফেডএক্সের প্রায় ৪ শতাংশ বিমান এমডি-১১ মডেলের। এই মডেলের বিমানগুলোর উৎপাদন ১৯৯৮ সালে বন্ধ করে দেয় বোয়িং।
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বিমানটি টেক-অফের সময় এর বাম দিকের ইঞ্জিন থেকে আগুন ধরে যায়। এরপর পাইলটরা বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হারান এবং সেটি বিমানবন্দরের কাছেই বিধ্বস্ত হয়।
বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ারে থাকা শব্দ ধারণকারী যন্ত্রে (ককপিট ভয়েস রেকর্ডার) বিমানের কর্মীদের কথোপকথন রেকর্ড করা হয়েছে। এই রেকর্ডিং থেকে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ড (এনটিএসবি) দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য কাজ করছে। তাদের তদন্তের ফলাফল জানতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
প্রাক্তন ফেডারেল ক্র্যাশ ইনভেস্টিগেটর জেফ গুজ়েত্তি জানান, সম্ভবত ইঞ্জিনে আগুন লাগার কারণেই এমনটা ঘটেছিল।
ইউপিএস-এর বিশ্ব-বন্দর লুইভিলে অবস্থিত, যা তাদের বৃহত্তম কেন্দ্র। এখানে প্রতিদিন প্রায় ৩০০টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হয় এবং ঘণ্টায় ৪ লক্ষাধিক প্যাকেট বাছাই করা হয়।
এই দুর্ঘটনায় বিমান চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ থাকলেও বুধবার রাতে তা পুনরায় চালু করা হয়েছে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস