ভয়ংকর! কেন ঘটলো ইউপিএস বিমান দুর্ঘটনা? ৭ জনের মৃত্যু!

যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যে ইউপিএস কার্গো বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ৭, আহত ১১

যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের লুইসভিল বিমানবন্দরে মঙ্গলবার একটি ইউপিএস কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত সাত জন নিহত হয়েছেন। বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১১ জন।

খবর সূত্রে জানা গেছে, বিমানটি হনুলুলুর উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা ছিল।

স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে বিমানটি বিমানবন্দরের কাছেই বিধ্বস্ত হয়। ১৯৯১ সালে তৈরি হওয়া ম্যাকডনেল ডগলাস এমডি-১১ মডেলের বিমানটির বাম উইংয়ে আগুন ধরে গিয়েছিল।

কেনটাকি’র গভর্নর অ্যান্ডি বেশেয়ার জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা গুরুতর। তবে নিহতদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

লুইসভিল ফায়ার ডিপার্টমেন্টের প্রধান ব্রায়ান ও’নিল জানান, নিহতদের মধ্যে চারজন বিমানের যাত্রী ছিলেন না।

দুর্ঘটনার পর বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং বুধবার সকাল পর্যন্ত তা চালু হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

ইউপিএস কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ডের (National Transportation Safety Board – NTSB) সঙ্গে কাজ করছে এবং ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।

লুইসভিলের প্রধান প্যাকেজ হ্যান্ডলিং সুবিধাটিতে মঙ্গলবার রাতের জন্য প্যাকেজ বাছাই কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

কবে নাগাদ এই কার্যক্রম পুনরায় শুরু করা হবে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি।

বিমানটিতে কোনো বিপদজনক পণ্য ছিল না বলে জানা গেছে।

বিমান বিশেষজ্ঞ পাবলো রোহাস বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে মনে হচ্ছে, বিমানটি আকাশে ওড়ার চেষ্টা করার সময় এর বাম দিকের ইঞ্জিনগুলোতে আগুন ধরে যায়।

বিমানের ধারণ করা বিপুল পরিমাণ জ্বালানির কারণে আগুন লাগার পর দ্রুত বিস্ফোরণের সম্ভবনা ছিল।

পাইলট বিমানের ভেতর থেকে আগুন দেখতে পান কিনা, তা বলা কঠিন। এমনকি যদি পাইলট ওড়ার আগেই সমস্যাটি বুঝতে পারতেন, তাহলেও সম্ভবত দ্রুত থামানোটা আরও বিপজ্জনক হতে পারত।

বর্তমানে এই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কাজ চলছে।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *