যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নীতিমালার বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। লস অ্যাঞ্জেলেসে শুরু হওয়া এই প্রতিবাদ কর্মসূচী এখন অন্যান্য শহরেও ছড়িয়ে পড়েছে।
বিক্ষোভ দমনে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল গার্ড ও মেরিন সেনাদের মোতায়েন করা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সূত্রে এমনটাই জানা গেছে।
লস অ্যাঞ্জেলেসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন বিষয়ক নীতির প্রতিবাদে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বিক্ষোভ হয়েছে। ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)-এর ধরপাকড়ের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদকারীরা সোচ্চার হয়েছেন। এই প্রতিবাদগুলো অন্যান্য শহরেও ছড়িয়ে পড়েছে, যা কর্তৃপক্ষের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ট্রাম্প প্রশাসন বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসমের আপত্তির পরেও ন্যাশনাল গার্ডকে ফেডারেল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, লস অ্যাঞ্জেলেস এলাকায় প্রায় ৭০০ মেরিন সেনাকে পাঠানো হয়েছে। বুধবার সকাল পর্যন্ত তাদের প্রশিক্ষণ চলছিল এবং কবে নাগাদ তাদের বিক্ষোভকারীদের মোকাবিলায় রাস্তায় নামানো হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
অন্যদিকে, টেক্সাসের রিপাবলিকান গভর্নর গ্রেগ অ্যাবটও রাজ্যে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছেন। আগামী শনিবার দেশজুড়ে ‘নো কিংস’ নামে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সান আন্তোনিও সহ বিভিন্ন শহরে এই প্রতিবাদ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে টেক্সাস সরকার।
লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, তারা এরই মধ্যে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে। লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাস কারফিউ জারি করেছেন, যা সম্ভবত কয়েক দিন পর্যন্ত বহাল থাকবে।
কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কারফিউয়ের আওতায় থাকা এলাকার আয়তন প্রায় ১ বর্গমাইল এবং এতে শহরের ৪০ লক্ষ বাসিন্দার মধ্যে ১ লক্ষেরও কম মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
যুক্তরাষ্ট্রে চলমান এই বিক্ষোভ এবং সরকারের পদক্ষেপগুলো দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা বিভিন্ন মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন