যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইয়েমেনে হামলা: একটি নতুন চিত্র
সাম্প্রতিক সময়ে, ইয়েমেনে (Yemen) সামরিক অভিযান চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র (যুক্তরাষ্ট্র) এবং তার মিত্র দেশগুলো। এই হামলার মূল কারণ হিসেবে জানা যায়, লোহিত সাগরে (Red Sea) বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
এই সামরিক অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রয়েছে যুক্তরাজ্য (United Kingdom) এবং সৌদি আরবসহ (Saudi Arabia) অন্যান্য দেশ।
সামরিক কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু হল ইয়েমেনের বিভিন্ন অঞ্চল, বিশেষ করে হাউছি বিদ্রোহীদের (Houthi rebels) নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকাগুলো। এইসব অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও বিমান থেকে বোমা বর্ষণ করা হচ্ছে।
হামলায় বিদ্রোহীদের সামরিক ঘাঁটি এবং অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে বলে জানা যায়। হামলার ফলে বেসামরিক মানুষের জীবনহানির আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে, যদিও হতাহতের সঠিক সংখ্যা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
এই হামলার প্রেক্ষাপটে ইয়েমেনের সংঘাতের ইতিহাস তুলে ধরা প্রয়োজন। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই গৃহযুদ্ধে হাউছি বিদ্রোহীরা দেশটির একটি বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।
তাদের সঙ্গে সৌদি আরব সমর্থিত সরকারি বাহিনীর লড়াই চলছে। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
লোহিত সাগরের গুরুত্ব অপরিসীম, কারণ এটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ। এই পথে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে, তা বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশেষ করে, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এটি উদ্বেগের কারণ, কারণ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে এর প্রভাব পড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হলে রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। সামরিক সমাধান কোনো দীর্ঘমেয়াদী ফল বয়ে আনবে না, বরং তা মানবিক সংকট আরও বাড়িয়ে দেবে।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা