মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ওষুধ এবং সেমিকন্ডাক্টর পণ্যের উপর শুল্ক আরোপের লক্ষ্যে তদন্ত শুরু করেছে। দেশটির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এই পদক্ষেপ নিয়েছে এবং এর কারণ হিসেবে জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
ফেডারেল রেজিস্টারে প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, ১৯৬২ সালের বাণিজ্য সম্প্রসারণ আইনের অধীনে এই শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
সোমবার এই তদন্তের ঘোষণা আসে। এর ফলে, আগামী ২১ দিনের মধ্যে এই বিষয়ে জনসাধারণের মতামত দেওয়ার সুযোগ থাকবে।
সাধারণত, এ ধরনের তদন্ত ঘোষণার পর ২৭০ দিনের মধ্যে তা সম্পন্ন করতে হয়। ট্রাম্প প্রশাসন এর আগেও তামা ও কাঠের মতো বিভিন্ন পণ্যের উপর শুল্ক আরোপের জন্য অনুরূপ তদন্ত শুরু করেছিল।
এই পদক্ষেপগুলো মূলত তার আগের মেয়াদের নেওয়া সিদ্ধান্তের ফলস্বরূপ ছিল।
বর্তমানে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান থেকে আমদানি করা চিপের উপর নির্ভরশীল। এই নির্ভরতা কমাতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন “চিপস অ্যাক্ট” এর মাধ্যমে দেশে চিপ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কয়েক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন।
যদিও এই নতুন তদন্তে ওষুধ এবং সেমিকন্ডাক্টর উভয় খাতকেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তবে ট্রাম্প বলেছেন, খুব শীঘ্রই তিনি সেমিকন্ডাক্টর আমদানির উপর একটি নির্দিষ্ট শুল্কের হার ঘোষণা করবেন।
ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো এই শুল্কের কারণে বাজারে ওষুধের সংকট দেখা দিতে পারে এবং রোগীদের জন্য ওষুধের সহজলভ্যতা কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
অন্যদিকে, ট্রাম্প জোর দিয়ে বলছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ শিল্পের স্বয়ংসম্পূর্ণতা বাড়ানো দরকার, যাতে তারা ঔষধের জন্য অন্য দেশের উপর নির্ভরশীল না থাকে।
ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো শুল্কের প্রভাব কমাতে এবং উৎপাদন ব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্য ট্রাম্পের কাছে আবেদন জানিয়েছে।
তাদের মতে, বড় ওষুধ কোম্পানিগুলোর উৎপাদন ব্যবস্থা বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও এশিয়ায়। তাই যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে প্রচুর সম্পদ প্রয়োজন এবং এতে বেশ কয়েক বছর সময় লাগতে পারে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্ব বাণিজ্য এবং বাংলাদেশের অর্থনীতির উপরও প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে, বাংলাদেশের বাজারে ওষুধের দাম বাড়তে পারে অথবা সরবরাহ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসতে পারে।
সেক্ষেত্রে, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হতে পারে।
তথ্যসূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ প্রতিবেদন।