যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তে কানাডায় চরম উত্তেজনা! সীমান্ত লাইব্রেরি নিয়ে ট্রাম্পের নয়া চাল

যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্তে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক লাইব্রেরিতে কানাডীয়দের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। কুইবেকের সীমান্ত শহর স্ট্যানস্টেড এবং হাসকেল ফ্রি লাইব্রেরি ও অপেরা হাউজ এক যুক্ত বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

হাসকেল ফ্রি লাইব্রেরি ও অপেরা হাউজটি কানাডার কুইবেক প্রদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভারমন্ট রাজ্যের সীমান্তে অবস্থিত। এটি দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে পরিচিত। ১৯০৫ সালে এই লাইব্রেরিটি নির্মাণ করা হয়।

মূল প্রবেশপথটি যুক্তরাষ্ট্রের দিকে অবস্থিত, এবং এতদিন কানাডীয়রা এই পথ দিয়েই লাইব্রেরিতে প্রবেশ করতে পারতেন। কানাডার সীমান্ত দিয়ে লাইব্রেরিতে প্রবেশ করতে কোনো পাসপোর্টের প্রয়োজন হতো না, তবে কর্তৃপক্ষ তাদের গতিবিধি নজরে রাখত।

এই সিদ্ধান্তের ফলে দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্ক আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যে বাণিজ্য নিয়ে উত্তেজনা বেড়েছিল। এমনকি ট্রাম্প মাঝে মাঝে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ করারও হুমকি দিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছেন অনেকে। ভারমন্টের সিনেটর পিটার ওয়েলচ এক টুইটে বলেছেন, “ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত আমাদের প্রতিবেশী ও মিত্রদের প্রতি তার আগ্রাসী মনোভাবের প্রমাণ।

জানা গেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস্টিন নোয়েম। তিনি একবার লাইব্রেরিতে এক সফরে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘ইউএসএ নাম্বার ১’। এরপর তিনি সীমান্ত অতিক্রম করে বলেন, ‘একান্নতম রাজ্য’। উপস্থিত কানাডীয়দের কাছে এই মন্তব্য ভালোভাবে গ্রহণ করা হয়নি।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে ‘পাগলামি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং তিনি বলেছেন, কানাডার সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানালে তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাণিজ্য এবং অন্যান্য নীতি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *