যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নীতির কড়া পদক্ষেপের অংশ হিসেবে, ট্রাম্প প্রশাসন টেক্সাসের এল পাসোতে ৫,০০০ অভিবাসীকে আটকের জন্য একটি বিশাল কেন্দ্র তৈরি করছে।
মার্কিন সরকারের দেওয়া তথ্যানুসারে, এই আটকের কেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য একটি চুক্তি হয়েছে, যার মূল্য প্রায় ২৩২ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার বেশি)।
এই প্রকল্পের দায়িত্ব পেয়েছে ভার্জিনিয়া ভিত্তিক একটি নির্মাণ সংস্থা, যার নাম অ্যাকুইজিশন লজিস্টিকস।
প্রকল্পটির বিস্তারিত তথ্যে জানা যায়, এটি হবে “সফট সাইডেড ফ্যাসিলিটি”, অর্থাৎ অনেকটা তাঁবুর ছাউনির মতো।
মূলত, এখানে এককভাবে আসা অভিবাসীদের রাখা হবে।
এই ধরণের আটক কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা নতুন নয়।
এর আগে ফ্লোরিডাতেও “অ্যালিগেটর আলকাট্রাজ” নামে পরিচিত একটি আটক কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি সীমান্ত সুরক্ষা এবং অভিবাসন বিষয়ক নীতিগুলোতে প্রায় ১৭০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছেন।
এর মধ্যে প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ডলার শুধু অভিবাসীদের আটকের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
যদিও অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার সংখ্যা বর্তমানে কমে এসেছে, তবুও অভিবাসন দপ্তর, অর্থাৎ ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট’ (আইসিই)-এর বাজেট আগামী পাঁচ বছরে প্রায় ৭৬.৫ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি করা হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন অবৈধভাবে বসবাস করা অভিবাসীদের বিতাড়িত করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ধরনের পদক্ষেপ অভিবাসন নীতিকে আরও কঠোর করবে এবং অভিবাসীদের জন্য কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করবে।
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে অনেক মানবাধিকার সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং অভিবাসন বিষয়ক নীতির মানবিক দিকটি বিবেচনা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস