ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: আলোচনার টেবিলে শান্তির সম্ভাবনা?
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি। ইসরায়েলের সামরিক অভিযান এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ক্রমেই বাড়ছে অস্থিরতা।
এমন পরিস্থিতিতে, যুক্তরাষ্ট্র চাইলে এক ফোনালাপে এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারে বলে মনে করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা।
ইরানের প্রেসিডেন্টের দপ্তরের ওই কর্মকর্তার মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি ইসরায়েলি নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ইরানের ওপর হামলা বন্ধ করতে বলেন, তাহলে আলোচনা পুনরায় শুরু করা যেতে পারে।
ইরানের পক্ষ থেকে আলোচনার আগ্রহের কথা জানানো হয়েছে। তবে তারা এটাও স্পষ্ট করেছে যে, ইসরায়েলি বোমা হামলা অব্যাহত থাকলে আলোচনা সম্ভব নয়।
ইরান মনে করে, শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধান করা যেতে পারে। তবে তারা তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম স্থগিত করতে রাজি নয়।
তাদের মতে, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। যদিও তারা কিছুটা ছাড় দিতে প্রস্তুত থাকতে পারে।
অন্যদিকে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জেনেভায় ইরানের সঙ্গে ইউরোপীয় দেশগুলোর বৈঠকে ‘শূন্য সমৃদ্ধকরণের’ ওপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন।
এই পরিস্থিতিতে, ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা এই বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে।
বর্তমানে, ইরান, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের মধ্যে জেনেভায় আলোচনা চলছে।
এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য হলো, সংঘাত বন্ধ করা এবং শান্তির পথ খুঁজে বের করা।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সরাসরি সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাবনা এখনো রয়েছে।
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের ভেতরেও এ নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে। ইরানের কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি যুদ্ধে জড়ায়, তবে তাদের কাছে মোকাবিলার অনেক উপায় আছে।
তেহরানে সরকার-সমর্থক বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
বিক্ষোভকারীরা মার্কিন ও ইসরায়েলি পতাকা পুড়িয়েছে এবং ‘ইসরায়েল নিপাত যাক’, ‘যুক্তরাষ্ট্র নিপাত যাক’ স্লোগান দেয়। বিক্ষোভকারীরা ইরানের ওপর বোমা হামলার তীব্র নিন্দা জানায়।
তথ্যসূত্র: সিএনএন