মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য বিষয়ক একটি প্রাথমিক কাঠামো চুক্তি হয়েছে, যা দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা প্রশমনে সহায়তা করতে পারে। এই চুক্তির ফলে, চীনা পণ্যের উপর আরোপিত ১.৫৭ শতাংশ শুল্কের মতো বিধিনিষেধ আপাতত এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে আসন্ন বৈঠকের আগে এই চুক্তিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে উভয় দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট জানিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ট্রাম্প ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই বৈঠকে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে।
বৈঠকের আগে দেয়া বক্তব্যে বেসেন্ট জানান, চীনের কাছ থেকে বিরল মৃত্তিকা খনিজ এবং মার্কিন সয়াবিনের একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কেনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মাধ্যমে উভয় দেশই তাদের বাণিজ্য সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে চাইছে।
এছাড়া, অবৈধ মাদক তৈরির রাসায়নিক উপাদান সরবরাহ বন্ধ করতেও দুই পক্ষ প্রাথমিক ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
আলোচনা প্রসঙ্গে জানা যায়, টিকটক-এর মার্কিন সম্পদ বিক্রির বিষয়েও একটি চূড়ান্ত চুক্তি হয়েছে। মার্কিন আইন অনুযায়ী, টিকটকের মার্কিন সম্পদ কোনো আমেরিকান কোম্পানির কাছে বিক্রি করতে হবে।
চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো সমাধানে গভীর আলোচনা করেছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ শুল্ক, বাণিজ্য চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি, ফেন্টানিল বিষয়ক শুল্ক এবং মাদকবিরোধী সহযোগিতা ইত্যাদি বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল।
চীনের শীর্ষ বাণিজ্য আলোচক লি চেংগাং জানিয়েছেন, গত কয়েক মাসে দুই দেশের মধ্যে অস্থিরতা দেখা গেছে, যা তারা চায়নি।
উভয় পক্ষই বিস্তারিত বিষয়গুলো চূড়ান্ত করতে এবং নিজ নিজ দেশের অভ্যন্তরীণ অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে রাজি হয়েছে। এই চুক্তির ফলে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন এবং বাণিজ্য সম্পর্ক আরও দৃঢ় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন