চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্য আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির খবর পাওয়া গেছে। সুইজারল্যান্ডে দু’দিনের বৈঠকের পর মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন।
তাদের ভাষ্যমতে, উভয় দেশের মধ্যে একটি চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যা বিশ্ব অর্থনীতির ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানান, “আমি জানাতে পেরে আনন্দিত যে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য আলোচনায় আমরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছি।” তিনি এই আলোচনাকে ‘ফলপ্রসূ’ বলেও উল্লেখ করেন।
এই বাণিজ্য আলোচনার মূল উদ্দেশ্য হলো যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তি করা। এই বিরোধের কারণে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে শুল্ক আরোপের ফলে অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে, যা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য উদ্বেগের কারণ। বাণিজ্য চুক্তির ফলে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের বাণিজ্য চুক্তি হলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও এর প্রভাব পড়তে পারে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যের নতুন শর্ত তৈরি হলে, বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানিতেও পরিবর্তন আসতে পারে।
বিশেষ করে তৈরি পোশাক, চামড়া, এবং পাটজাত পণ্যের বাজারে এর প্রভাব পড়তে পারে।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরাও এই আলোচনার দিকে গভীর মনোযোগ রাখছেন। কারণ, এই চুক্তির ফলে আমদানি পণ্যের দামের পরিবর্তন হতে পারে, যা সরাসরি ভোক্তাদের প্রভাবিত করবে।
একইসঙ্গে, রপ্তানি বাণিজ্যের নতুন সুযোগও তৈরি হতে পারে, যা দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়ক হবে। বাণিজ্য বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই চুক্তির ফলে বিশ্ব অর্থনীতির পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
বর্তমানে, বিশ্ব অর্থনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক দিক হতে পারে।
তবে, এর বাস্তব প্রভাব দেখতে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন