যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা পুনরায় শুরু হতে চলেছে, যা আগামী সোমবার লন্ডনে অনুষ্ঠিত হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে দুই দেশের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য প্রতিনিধিরা মিলিত হবেন এবং বিশ্ব অর্থনীতির জন্য এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে আলোচনা করবেন।
খবরটি নিশ্চিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
জানা গেছে, মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট, বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুডনিক এবং মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত জেমিসন গ্রিয়ার। চীনের পক্ষ থেকে আলোচনায় নেতৃত্ব দেবেন দেশটির ভাইস প্রিমিয়ার, হে লিফেং।
আলোচনার মূল বিষয় হবে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য চুক্তি এবং বাণিজ্য সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়গুলো। এর আগে, গত ১২ই মে, জেনেভাতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দুই দেশ শুল্ক হ্রাসে রাজি হয়েছিল। কিন্তু এরপর বিরল মৃত্তিকা উপাদান (rare earth materials) এবং প্রযুক্তিগত বিধিনিষেধ সহ বিভিন্ন ইস্যুতে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।
সম্প্রতি ট্রাম্প এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে প্রায় ৯০ মিনিটের একটি ফোনালাপ হয়, যা পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত করতে সহায়ক হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই আলোচনার প্রেক্ষাপটে, বিশ্ব অর্থনীতির উপর এর সম্ভাব্য প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যেকার বাণিজ্য যুদ্ধ বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, উভয় দেশের মধ্যেকার বাণিজ্য সম্পর্ক বাংলাদেশের অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে এর প্রভাব পড়তে পারে, অথবা চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের দামে পরিবর্তন আসতে পারে।
লন্ডনে হতে যাওয়া এই আলোচনা তাই শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। বাণিজ্য আলোচনার ফলস্বরূপ যদি ইতিবাচক কিছু আসে, তবে তা বিশ্ব বাজারের জন্য একটি ভালো খবর হবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন