যুক্তরাষ্ট্রের তেল আবিব-এ অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস শাখায় হামলার চেষ্টার অভিযোগে জোসেফ নিউমেয়ার নামের এক মার্কিন-জার্মান দ্বৈত নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিউ ইয়র্কের ফেডারেল কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলে গিয়ে তিনি দূতাবাসটিতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করার চেষ্টা করেছিলেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, নিউমেয়ার গত ১৯শে মে দূতাবাসের একটি শাখায় যান। তার সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগে ছিল পেট্রোল বোমা। তবে দূতাবাসের নিরাপত্তা কর্মীর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয় এবং পরে তিনি পালিয়ে যান।
পালানোর সময় তিনি তার ব্যাগটি ফেলে যান। খবর পাওয়ার পর, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিউমেয়ারকে দূতাবাস থেকে কয়েক ব্লক দূরের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করে।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এই আসামীর বিরুদ্ধে ইসরায়েলে আমাদের দূতাবাসে মারাত্মক হামলার পরিকল্পনা এবং আমেরিকানদের জীবননাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। সরকার এ ধরনের সহিংসতা বরদাস্ত করবে না এবং আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগের মাধ্যমে আসামীর বিচার করা হবে।”
আদালতে নিউমেয়ারের আইনজীবী জেফ ডালবার্গ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, এই ঘটনার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের মধ্যে। গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় প্রায় ৫৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ক্রসিংগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে খাদ্য, ঔষধ এবং জ্বালানি সহ মানবিক সহায়তা সামগ্রী পাঠানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
আদালতের নথি অনুযায়ী, ২৮ বছর বয়সী নিউমেয়ার, যিনি মূলত কলোরাডোর বাসিন্দা এবং একইসাথে মার্কিন ও জার্মান নাগরিক, ফেব্রুয়ারির শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডায় যান এবং পরে এপ্রিলের শেষে ইসরায়েলে আসেন।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, হামলার আগে নিউমেয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কিছু হুমকি পোস্ট করেছিলেন।
এই ঘটনার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট হলো, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং তেল আবিব থেকে দূতাবাস সরিয়ে জেরুজালেমে নেওয়া সংক্রান্ত বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখনো এই সিদ্ধান্তকে স্বীকৃতি দেয়নি।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা