মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেন এই ব্যক্তিকে ফেরত পাঠাতে চায়? চাঞ্চল্যকর তথ্য!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১০ বছর ধরে বসবাস করার পর, রাশিয়া থেকে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েও বিতাড়নের ঝুঁকিতে এক ব্যক্তি। আর্থার নিউমার্ক নামের এই ব্যক্তির যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের অভিজ্ঞতা এবং তাঁর বিতাড়নের আশঙ্কার গল্প এখন আলোচনায়।

আর্থার নিউমার্ক, যিনি একসময় রাশিয়ায় দুর্নীতি উন্মোচনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানা যায়, ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন এবং রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেন। এরপর তিনি এবং তাঁর পরিবার নিরাপত্তার কারণে তাঁদের নাম পরিবর্তন করেন।

কিন্তু সম্প্রতি, অভিবাসন শুনানির কয়েক দিন পরেই তাঁকে আটক করে মার্কিন ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। আর্থারের আইনজীবী জানিয়েছেন, তিনি নিয়ম মেনেই আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন।

কিন্তু আইসিই এখন বলছে, তিনি ভিসার মেয়াদ অতিক্রম করেছেন, যদিও নিউমার্কের আইনজীবী এই অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন। জানা যায়, নিউমার্ককে আটকের পর তাঁর পরিবার চরম উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

তাঁর পরিবারের সদস্যরা, বিশেষ করে রাশিয়ান বংশোদ্ভূত সন্তানরা, এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তাঁরা জানেন না, তাঁদের হয়তো রাশিয়া ফেরত পাঠানো হতে পারে।

আর্থারের স্ত্রী ক্রিস্টিনা জানিয়েছেন, তাঁরা জীবন বাঁচাতে রাশিয়া ছেড়ে এসেছিলেন। এখানে তাঁরা নতুন করে জীবন শুরু করেছিলেন।

ক্রিস্টিনা একটি সঙ্গীত শিক্ষাকেন্দ্র চালান। তাঁদের ছোট ছেলে, যিনি আমেরিকায় জন্মগ্রহণ করেছেন, সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় বেশ সুনাম অর্জন করেছে।

আর্থার এবং ক্রিস্টিনা ২০১৫ সালে চিকিৎসার জন্য প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। এর আগে, মস্কোতে তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল।

এরপর তাঁরা রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেন। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রের আশ্রয় চেয়েছিলেন, কারণ তাঁরা মনে করতেন এখানে তাঁরা আইনি সুরক্ষা পাবেন।

এই ঘটনার সূত্র ধরে, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নীতির কঠোরতা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে, ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে আশ্রয়প্রার্থীদের প্রতি যে কঠোর মনোভাব দেখা যাচ্ছে, সে বিষয়ে অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের আটক করার প্রবণতাও বেড়েছে। আর্থার নিউমার্কের পরিবারের এই অনিশ্চয়তা যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতির একটি বাস্তব চিত্র তুলে ধরে।

এই ঘটনা প্রমাণ করে, কীভাবে একটি পরিবারের জীবন বিতাড়নের আশঙ্কায় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়তে পারে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *