মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উদ্দেশ্যে নেওয়া শান্তি আলোচনায় দ্রুত কোনো অগ্রগতি দেখতে না পায়, তাহলে হয়তো তারা এই প্রক্রিয়া থেকে সরে আসতে পারে। শুক্রবার প্যারিসে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে কয়েক দিন ধরে চলা আলোচনার প্রেক্ষাপটে রুবিও এই মন্তব্য করেন।
প্যারিসে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এর মাধ্যমে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজতে শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। জানা গেছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে লন্ডনে একই ধরনের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রুবিও জানিয়েছেন, তিনি সম্ভবত সেই বৈঠকে অংশ নিতে পারেন।
মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা আলোচনাগুলোতে কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি স্থাপনে এখনো পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা যায়নি।
রুবিও সাংবাদিকদের বলেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তারা সিদ্ধান্ত নিতে চান যে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই আলোচনা ফলপ্রসূ হবে কিনা।
প্যারিসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইউক্রেন এবং তার নিরাপত্তা বিষয়ক বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পর এই প্রথম শীর্ষ মার্কিন, ইউক্রেনীয় এবং ইউরোপীয় কর্মকর্তারা যুদ্ধ বন্ধের উপায় নিয়ে আলোচনা করতে মিলিত হয়েছেন।
এমন এক সময়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো, যখন ইউরোপে ট্রাম্পের রাশিয়া ঘেঁষা নীতির কারণে উদ্বেগ বাড়ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে শান্তি আলোচনাকে এগিয়ে নিতে রুবিও এবং বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। এর আগে, সৌদি আরবে বেশ কয়েক দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রুবিও জানিয়েছেন, উইটকফ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তিনবার সাক্ষাৎ করেছেন।
তবে রাশিয়া এখনো পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি। তারা ইউক্রেনের সেনা সমাবেশ এবং পশ্চিমা দেশগুলোর অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের শর্ত দিয়েছে, যা ইউক্রেন প্রত্যাখ্যান করেছে।
শান্তি আলোচনার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে উভয় পক্ষের নমনীয়তার ওপর। এখন দেখার বিষয়, যুক্তরাষ্ট্র কত দ্রুত একটি সমাধানে পৌঁছাতে পারে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস