মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ক্যাল-মেইন ফুডস-এর বিরুদ্ধে দেশটির বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। ডিমের বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি, কোম্পানিটি জানিয়েছে যে, তারা এই তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছে।
জানা গেছে, গত কয়েক মাসে ডিমের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে, যা ভোক্তাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বার্ড ফ্লু’র প্রাদুর্ভাবকে।
এই ভাইরাসের কারণে খামারিদেরকে কয়েক কোটি মুরগি নিধন করতে হয়েছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে ডিমের উৎপাদনে।
ফেব্রুয়ারি মাসে, যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলোতে প্রতি ডজন গ্রেড এ ডিমের গড় দাম ছিল ৫.৯০ মার্কিন ডলার, যা এক বছর আগের তুলনায় ১০.৪ শতাংশ বেশি। এমনকি জানুয়ারিতেও ডিমের দাম ছিল রেকর্ড পরিমাণে, প্রতি ডজন ছিল ৪.৯৫ ডলার।
ক্যাল-মেইন ফুডস জানিয়েছে, তাদের গত অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বিক্রি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে, যা ১.৪২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এর প্রধান কারণ ছিল ডিমের উচ্চমূল্য।
এই সময়ে প্রতি ডজন ডিমের গড় দাম ছিল ৪.০৬ ডলার, যেখানে আগের বছর একই সময়ে তা ছিল ২.২৫ ডলার। যদিও বিক্রির এই পরিমাণ বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসের চেয়ে সামান্য কম ছিল।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, তারা তৃতীয় প্রান্তিকে রেকর্ড পরিমাণ ডিম বিক্রি করেছে – প্রায় ৩৩১.৪ মিলিয়ন ডজন। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি।
বার্ড ফ্লু’র প্রভাব কমানোর জন্য তারা নতুন করে লেয়ার মুরগি ও বাচ্চা উৎপাদন বাড়িয়েছে। এছাড়া, টেক্সাস ও কানসাসের প্ল্যান্টে ফ্লুর কারণে যে ক্ষতি হয়েছিল, তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে।
ক্যাল-মেইন জানিয়েছে, এই সময়ে তাদের খাদ্য খরচও কমেছে।
আয় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ক্যাল-মেইন জানিয়েছে, তাদের তৃতীয় প্রান্তিকের নেট আয় আগের বছরের তুলনায় তিন গুণের বেশি হয়েছে, যা ছিল প্রায় ৫০৮.৫ মিলিয়ন ডলার।
শেয়ার প্রতি আয়ের পরিমাণ ছিল ১০.৩৮ ডলার, যা বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়ে সামান্য কম।
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে, ডিমের দাম বৃদ্ধি এবং সরবরাহ ব্যবস্থাপনার ওপর নজর রাখা হচ্ছে। বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দামের এই অস্থিরতা বাংলাদেশের বাজারেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন