বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় ডুবতে পারে: ভয়ঙ্কর পূর্বাভাস!

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার পূর্বাভাস, জীবনহানির আশঙ্কা

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পশ্চিম এবং দক্ষিণাঞ্চলে আগামী কয়েক দিন ধরে চরম আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করে বলেছেন, এই অঞ্চলগুলোতে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে, সেই সঙ্গে আসতে পারে আকস্মিক বন্যা এবং শিলাবৃষ্টি। এই পরিস্থিতিতে জীবনহানির আশঙ্কাও রয়েছে।

জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত কয়েক দিন ধরে ‘গুরুতর, জীবন-হুমকি সৃষ্টিকারী’ আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে। অনেক এলাকায় বন্যার কারণে ঘরবাড়ি জলমগ্ন হতে পারে, এমনকি গাড়ি পর্যন্ত ভেসে যেতে পারে।

আগামী চার দিনের মধ্যে প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার (এক ফুটের বেশি) বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, যা একটি ‘আশ্চর্যজনক’ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এমন বৃষ্টিপাতের ঘটনা ‘কদাচিৎ’ ঘটে এবং এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বিশেষ করে আরকানসাস, টেনেসী, মিসৌরি, কেনটাকি, ইলিনয় ও ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যে ক্ষতির আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। মেমফিস, লিটল রক, জপলিন, কলাম্বিয়া, ওসোয়া, নেভাদা, উইচিটা, শিকাগো, ইন্ডিয়ানাপলিস, সেন্ট লুইস, লুইসভিল, ডালাস, ডেট্রয়েট, মিলওয়াকি, এবং ন্যাশভিলের মতো শহরগুলোতেও দুর্যোগের প্রভাব পড়তে পারে।

আবহাওয়াবিদদের মতে, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের পাশাপাশি ঘণ্টায় প্রায় ৮০ কিলোমিটার (প্রায় ৫০ মাইল) বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। এছাড়া, শিলাবৃষ্টিরও সম্ভবনা রয়েছে। এরই মধ্যে কানসাসে একটি টর্নেডোর (ঘূর্ণিঝড়) দেখা গেছে। ওকলাহোমার ওসোয়ায় বুধবার সকালে একটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে, এতে ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছপালা উপড়ে গেছে।

অন্যদিকে, মিশিগানে গত কয়েক দিনের তুষারঝড়ের কারণে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। এখনো কয়েক লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন। রাস্তা পরিষ্কার করতে এবং গ্যাস স্টেশনে গাড়ির লম্বা লাইন দেখা গেছে।

এছাড়া, উইসকনসিন এবং মিশিগানের কিছু অংশে তুষার ও বৃষ্টির মিশ্রণ দেখা যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (National Weather Service) হলো দেশটির সরকারি আবহাওয়া পূর্বাভাস সংস্থা। তারা জানিয়েছে, একটি বৃহৎ অঞ্চলে প্রায় ৯ কোটির বেশি মানুষ এই খারাপ আবহাওয়ার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এখানে শক্তিশালী এবং দীর্ঘস্থায়ী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে। এই অঞ্চলের প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *