যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ জনের মৃত্যু: ভয়ঙ্কর বন্যার কবলে জনজীবন!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে, যার ফলে অন্তত ১৮ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাত, টর্নেডো এবং শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এই অঞ্চলের পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, টেক্সাস থেকে শুরু করে ওহাইও পর্যন্ত বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনেক শহরে রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষার জন্য বালু বস্তা ব্যবহার করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া দপ্তর (National Weather Service – NWS) জানিয়েছে, কেন্টাকি, টেনেসী এবং আলাবামাসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে আগামী কয়েক দিন ধরে বন্যার পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। আবহাওয়া দপ্তর আরও জানায়, আলাবামা, জর্জিয়া এবং ফ্লোরিডায় টর্নেডোর সম্ভাবনা রয়েছে।

বিভিন্ন প্রতিবেদনে প্রকাশ, বন্যার কারণে রাস্তাঘাট ও সেতুর মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। ইতিমধ্যে টেনেসীতে ১০ জনসহ মোট ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া এক শিশুকে খুঁজতে গিয়ে কেন্টাকিতে ৯ বছর বয়সী এক বালক নিখোঁজ হয়েছে। আরকানসাসে, ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়া, মিসৌরিতে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারের সময় এক ১৬ বছর বয়সী স্বেচ্ছাসেবক নিহত হয়।

আবহাওয়ার কারণে শনিবার যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ৫২১টি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং ৬,৪০০টির বেশি ফ্লাইট দেরিতে ছেড়েছে। জানা গেছে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে অনেক এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া দপ্তরের কর্মীর সংখ্যা হ্রাস করার কারণে এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস প্রদানে সমস্যা হতে পারে। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে আবহাওয়া দপ্তরের অনেক কর্মীর পদ শূন্য ছিল, যা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একটি উদ্বেগের কারণ।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *