যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, গ্রীষ্মকালে চরম তাপমাত্রার কারণে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। জরুরি বিভাগে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং তাপ-সম্পর্কিত কারণে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।
আবহাওয়ার এই চরম পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশটির জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা (National Weather Service) এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (Centers for Disease Control and Prevention) বিভিন্ন পূর্বাভাস তৈরি করছে।
এই পূর্বাভাসগুলোতে তাপমাত্রার তীব্রতা, কতদিন ধরে এই তাপমাত্রা থাকবে এবং এটি কতটা অস্বাভাবিক—এসব বিষয় বিবেচনা করা হয়। এছাড়া, অতীতের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর এর সম্ভাব্য প্রভাবও বিশ্লেষণ করা হয়।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানতে বিভিন্ন ধরনের মানচিত্র ব্যবহার করা হয়, যা সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ, ‘অনুভূত তাপমাত্রা’ (apparent temperature) কত হতে পারে, সে সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যায়।
বাতাসের আর্দ্রতা এবং বাতাসের গতির মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে এই পূর্বাভাস তৈরি করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া দপ্তর প্রতিদিন সম্ভাব্য রেকর্ড ভাঙা তাপমাত্রা সম্পর্কে পূর্বাভাস দেয়। এছাড়াও, আগামী কয়েক সপ্তাহের জন্য দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের গড় তাপমাত্রা কেমন থাকতে পারে, সে সম্পর্কেও ধারণা দেওয়া হয়।
আবহাওয়াবিদরা পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মডেল ব্যবহার করেন, যা তাঁদের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বজুড়ে তাপপ্রবাহের ঘটনা বাড়ছে। তাপপ্রবাহ এখন আরও বেশি সাধারণ, তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে।
রাতের বেলাতেও তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমছে না, যা মানুষকে স্বস্তি দিতে পারছে না।
যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিজ্ঞতা থেকে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পাই। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের অনেক দেশেই আবহাওয়ার চরম রূপ দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশেও এর প্রভাব অনুভূত হচ্ছে। যদিও আমাদের এখানে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট ব্যবস্থা এখনো সেভাবে গড়ে ওঠেনি, তবে আবহাওয়ার পরিবর্তনের বিষয়টি আমাদের সকলেরই জানা।
তাই, স্থানীয় আবহাওয়ার পূর্বাভাস সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং গরমের সময় স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
তথ্য সূত্র: CNN