মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তীব্র গরমের হানা! কোথায় সবচেয়ে বেশি বিপদ?

বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে সারা বিশ্বেই আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটছে, যার প্রভাব পড়ছে জনজীবনে। উন্নত দেশগুলোতেও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না।

সম্প্রতি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তীব্র গরমের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে, যা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশটির আবহাওয়া দপ্তর এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (CDC) যৌথভাবে এই বিষয়ে পূর্বাভাস তৈরি করছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, গরমের তীব্রতা, কত দিন তা স্থায়ী হবে এবং অতীতের অভিজ্ঞতা—এসব বিষয় বিবেচনা করে একটি ঝুঁকি মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এই মূল্যায়ন অনুযায়ী, কোন অঞ্চলে মানুষ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে, তা চিহ্নিত করা হচ্ছে।

এছাড়াও, বাতাসের আর্দ্রতা এবং বাতাসের গতি বিবেচনা করে ‘অনুভূত তাপমাত্রা’ কেমন হবে, সেই পূর্বাভাসও তৈরি করা হচ্ছে। এই পূর্বাভাসগুলো প্রতিদিন হালনাগাদ করা হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় জরুরি বিভাগে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে এবং হিট-স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে বহু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের কারণে স্বাভাবিকভাবেই জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে।

গত বছর, গ্রীষ্মকালে দেশটির প্রায় ৬ কোটি মানুষের ওপর এই গরমের প্রভাব পড়েছিল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপপ্রবাহ এখন আরো বেশি সাধারণ, তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। রাতের বেলাতেও তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমছে না, যা মানুষের জন্য স্বস্তি বয়ে আনতে পারছে না।

এর ফলে তাপমাত্রা রেকর্ড ভাঙার ঘটনাও বাড়ছে। বিভিন্ন স্থানে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কত হতে পারে, সে সম্পর্কেও পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া দপ্তর থেকে আগামী কয়েক সপ্তাহের জন্য বিভিন্ন অঞ্চলের গড় তাপমাত্রার পূর্বাভাস দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে কোন অঞ্চলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বা কম থাকতে পারে, সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।

যদিও এই ঘটনাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের, তবে জলবায়ু পরিবর্তনের এই প্রভাব থেকে বাংলাদেশও মুক্ত নয়। আমাদের দেশেও গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বাড়ছে, যা জনস্বাস্থ্য এবং জীবনযাত্রার ওপর প্রভাব ফেলছে।

ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোতে, যেমন ঢাকা ও চট্টগ্রামে, গরমের কারণে ঝুঁকি আরও বেশি হতে পারে। তাই, যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে, আমাদেরও প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *