মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা মন্ত্রী ক্রিস্টেন নুম কলম্বিয়ায় পৌঁছেছেন, অভিবাসন, অপরাধ এবং বিতাড়ন বিষয়ক আলোচনার জন্য। বৃহস্পতিবার তিনি কলম্বিয়ায় আসেন, যা তিনটি লাতিন আমেরিকান দেশের সফরসূচির অংশ।
এই সফর এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন যুক্তরাষ্ট্র ও কলম্বিয়ার মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা শীতল। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এবং কলম্বিয়ার সরকারের মধ্যে, যারা এক সময় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল, তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে, নুম কলম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর তিনি দেশটির বামপন্থী প্রেসিডেন্ট এবং পুলিশের সঙ্গেও মিলিত হন, যেখানে অপরাধ দমনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, দুজনেই পপুলিস্ট ঘরানার নেতা, যারা অপরাধ দমন এবং লাতিন আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ধারণা পোষণ করেন।
যদিও কলম্বিয়ায় নুমের বৈঠকের ফল এখনো স্পষ্ট নয়, তবে সফরটি মূলত অভিবাসন ও নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনার ওপর কেন্দ্র করে হয়েছে। এই সফর ছিল বুধবার এল সালভাদরে তার সফরের বিপরীত। সেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট নাইব বুকেলির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যিনি গ্যাং বিরোধী কঠোর পদক্ষেপের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ডানপন্থীদের সমর্থন লাভ করেছেন।
নুম এল সালভাদরের একটি বিশাল কারাগারেও যান, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার কর্তৃক বিতাড়িত শত শত ভেনেজুয়েলার নাগরিককে রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ভেনেজুয়েলার কুখ্যাত গ্যাং ‘ট্রেন দে আরাগুয়া’-র সদস্য ছিল। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন এই বিষয়ে খুব বেশি প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি। এই বিতাড়ন নিয়ে বর্তমানে আদালতে মামলা চলছে।
ট্রাম্প প্রশাসন এবং বুকেলির প্রচারণার কারণে নুমের এই কারাগার পরিদর্শনের বিষয়টি বেশ আলোচিত হয়েছে, তবে কলম্বিয়ায় তার সফর নিয়ে তেমনটা দেখা যায়নি।
শুক্রবার নুম মেক্সিকো যাওয়ার কথা রয়েছে এবং সেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেইনবাউমের সঙ্গে মিলিত হবেন। শেইনবাউমের সরকার ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে শুল্ক বিষয়ক আলোচনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও শেইনবাউমের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, ট্রাম্প বুধবার এক ঘোষণায় জানান, তারা গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস