মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত একটি গুরুত্বপূর্ণ কর ও ব্যয় সংকোচন বিল অনুমোদন করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে (বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী) অনুষ্ঠিত এক ভোটাভুটিতে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিলটি পাস হওয়ার ফলে ট্রাম্প এবং প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকারের জন্য এটি একটি বড় রাজনৈতিক বিজয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ভোটের ফলাফল ছিল খুবই কাছাকাছি – বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ২১৫টি, বিপক্ষে পড়েছে ২১৪টি। হাউসের একজন সদস্য ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন, এবং আরও দুইজন সদস্য ভোট দেননি।
এই বিলটি মূলত ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলোর একটি অংশ পূরণ করবে। এখন এটি সিনেটে যাবে, যেখানে রিপাবলিকানরা তাদের নিজস্ব কিছু পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করছেন বলে জানা গেছে।
এই বিলটির মূল উদ্দেশ্য হল করের হার কমানো এবং সরকারি ব্যয় সংকোচন করা। এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করার কথা বলা হয়েছে।
এই ধরনের বড় আকারের নীতিগত পরিবর্তন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং বিশ্ব অর্থনীতির উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও কিছু প্রভাব পড়তে পারে, যদিও তা সরাসরি নাও হতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা দুটি প্রধান অংশে বিভক্ত – প্রতিনিধি পরিষদ এবং সিনেট। প্রতিনিধি পরিষদে একটি বিল পাস হওয়ার পর, সেটি আইনে পরিণত হওয়ার জন্য সিনেটে যেতে হয়।
সিনেটে বিলটি নিয়ে আলোচনা ও প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের পর উভয় সভায় অনুমোদন পেলে তবেই এটি আইনে পরিণত হয়।
এই বিল পাসের ঘটনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এটি ট্রাম্পের রাজনৈতিক এজেন্ডাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল।
এখন সিনেটে বিলটি কী অবস্থায় যায়, সেদিকেই সবার দৃষ্টি থাকবে। সিনেটে বিলটি পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে, যা চূড়ান্ত ফলাফলের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
সংক্ষেপে, প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি পাস হলেও এর ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত। সিনেটের সিদ্ধান্তের পরেই জানা যাবে, ট্রাম্পের এই গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা কতটুকু সফল হতে পারে।
তথ্য সূত্র: CNN