আমেরিকার একটি সাধারণ পরিবারে ব্যবহৃত জিনিসপত্রের কত শতাংশ দেশটিতে তৈরি হয়? এই প্রশ্নটি অনেকের মনেই জাগতে পারে।
বিশ্বায়নের এই যুগে, যেখানে বাজারের প্রতিটি কোণে বিভিন্ন দেশের পণ্যের ছড়াছড়ি, সেখানে একটি দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত পণ্যের হিসাব রাখা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে যদি আমরা দেখি, তাহলে দেশটির নিজস্ব চাহিদা মেটাতে সেখানে উৎপাদিত পণ্যের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ রয়েছে।
তবে, বিশ্ব বাণিজ্যের প্রভাবের কারণে, অনেক পণ্য বাইরে থেকে আমদানি করা হয়। এই আমদানি-রপ্তানির হিসাব, একটি দেশের অর্থনীতির চালচিত্রকে প্রভাবিত করে।
সাধারণত, একটি মার্কিন পরিবারে ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্যের মধ্যে কিছু জিনিস অভ্যন্তরীণভাবে তৈরি হয়, যেমন – কিছু আসবাবপত্র এবং খাদ্য সামগ্রী।
অন্যদিকে, ইলেক্ট্রনিক্স এবং পোশাকের মতো কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে আমদানির হার বেশি। এর কারণ হতে পারে উৎপাদন খরচ, শ্রমিকের মজুরি এবং বাজারের চাহিদা।
আমেরিকায় উৎপাদিত পণ্যের ক্রয়, দেশটির অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এর ফলে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান বাড়ে এবং দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি)-এ অবদান রাখে।
এই বিষয়টি বাংলাদেশের জন্যেও বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশের অর্থনীতিতেও আমদানি ও রপ্তানির একটি বড় ভূমিকা রয়েছে।
“মেড ইন বাংলাদেশ” ধারণাটি আমাদের দেশে স্থানীয় শিল্পকে উৎসাহিত করে এবং দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।
একইভাবে, বিশ্ব বাণিজ্য আমাদের দেশের শিল্প ও বাণিজ্যের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
সুতরাং, একটি দেশের বাজারে স্থানীয় পণ্যের সরবরাহ এবং বিশ্ব বাজারের সাথে তার সংযোগ, উভয়ই একটি দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ভোক্তাদের সচেতনতা এবং ক্রয় ক্ষমতার উপর নির্ভর করে এই হিসাব।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা