মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্বস্তি! মূল্যবৃদ্ধির হার কমল, তবে…

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি কমেছে, যা গত ছয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। সম্প্রতি প্রকাশিত সরকারি তথ্য অনুযায়ী, একদিকে যেমন জীবনযাত্রার ব্যয় কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে, তেমনই বাণিজ্য শুল্কের কারণে ভবিষ্যতে এর ওপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, মার্চ মাসে ভোক্তা মূল্য সূচক (Consumer Price Index – CPI) বার্ষিক ২.৪ শতাংশে নেমে এসেছে। ফেব্রুয়ারিতে এই হার ছিল ০.২ শতাংশ।

মাসিক ভিত্তিতে, গত মে মাসের পর এই প্রথমবার মূল্য হ্রাস দেখা গেছে, যা ০.১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সাধারণত, মার্চ মাসে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ে, কিন্তু এবার তা কমে যাওয়ায় সামগ্রিক মূল্যসূচককে নিম্নমুখী করেছে।

তবে, খাদ্যপণ্যের দাম, বিশেষ করে ডিমের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বার্ড ফ্লুর কারণে ডিমের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় এর দাম বেড়েছে। ফেব্রুয়ারিতে ডিমের দাম যেখানে ছিল, মার্চে তা ৫.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বার্ষিক হিসাবে বেড়েছে প্রায় ৬০.৪ শতাংশ।

অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করে বলছেন যে, এই মাসের মূল্যস্ফীতির হার সম্ভবত বছরের সর্বনিম্ন হতে পারে। কারণ, মার্কিন সরকারের নতুন বাণিজ্য শুল্ক নীতি বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে, যা আমদানি করা পণ্যের দাম বাড়াতে পারে। এর ফলে ভোক্তাদের জন্য জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়তে পারে।

ভোক্তা মূল্য সূচকের কোর (Core CPI), যা খাদ্য ও জ্বালানি বাদে অন্যান্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পরিমাপ করে, মার্চ মাসে ০.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে, গত ১২ মাসে কোর সিপিআইয়ের হার দাঁড়িয়েছে ২.৮ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারির ৩.১ শতাংশের তুলনায় কম।

এই হার প্রায় চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদিও মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে, বাণিজ্য শুল্কের কারণে ভবিষ্যতে এর ওপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে এর প্রভাব কেমন হবে, তা এখন দেখার বিষয়।

তথ্য সূত্র: CNN

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *