মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্টুডেন্ট ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির সরকার সামাজিক মাধ্যমে আবেদনকারীদের তথ্য যাচাই-বাছাই আরও জোরদার করার পরিকল্পনা করছে, এমনটাই জানা গেছে।
এর ফলে, উচ্চ শিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যেতে ইচ্ছুক বহু বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর ওপর এর প্রভাব পড়তে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ভিসা প্রক্রিয়াকরণ স্থগিতের এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে। দেশটির সরকার এখন থেকে ভিসা আবেদনকারীদের সামাজিক মাধ্যমের প্রোফাইলগুলো আরও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখবে।
কর্তৃপক্ষের মতে, এর মূল উদ্দেশ্য হলো, যারা যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে আসছে, তারা যেন দেশটির আইন ও নিয়মকানুন সম্পর্কে অবগত থাকে এবং এখানে তাদের সময়টুকু যেন ইতিবাচক হয়।
এই সিদ্ধান্তের ফলে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা বাড়তে পারে। বিশেষ করে, যাদের সামাজিক কার্যকলাপ, রাজনৈতিক মন্তব্য অথবা ফিলিস্তিন ইস্যুতে কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তাদের ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যেতে পারে।
ইতোমধ্যে, ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলার কারণে কয়েকজন শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের কারণে দেশটির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও এর প্রভাব পড়তে পারে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী তালিকাভুক্তি বাতিল করার বিষয়েও আলোচনা চলছে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এমন সিদ্ধান্তের ফলে অনেক শিক্ষার্থী এখন বিকল্প পথ খুঁজছেন। কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য এবং জার্মানির মতো দেশগুলোও বর্তমানে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য জনপ্রিয় গন্তব্য।
বিশেষ করে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা বিদেশে পড়াশোনা করতে আগ্রহী, তাদের জন্য অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন পছন্দের তালিকায় যুক্ত হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভিসা প্রক্রিয়াকরণে কড়াকড়ি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যাচাই-বাছাইয়ের কারণে অনেক শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে যেতে নিরুৎসাহিত হতে পারেন। তবে, ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে যাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ আহ্বান জানিয়েছে।
একইসাথে, ভিসা পেতে এখন আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
বর্তমানে, ডলারের বিনিময় হার বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার খরচ অনেক বেড়েছে, যা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য উদ্বেগের কারণ। ভিসা জটিলতা এবং অতিরিক্ত খরচের কারণে অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন হুমকির মুখে পড়তে পারে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা