মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিশু বিশেষজ্ঞ’দের একটি সংস্থা, আমেরিকান একাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্স (এএপি), কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিয়ে নতুন সুপারিশ করেছে। এই সুপারিশগুলো দেশটির স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রধান সংস্থা সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)-এর পরামর্শ থেকে ভিন্ন।
এই বিভেদ স্বাস্থ্য বিষয়ক নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এএপি শিশুদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়ে বিশেষভাবে জোর দিয়েছে।
তাদের নতুন সুপারিশ অনুযায়ী, ৬ মাস থেকে ২ বছর বয়সী শিশুদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া উচিত। এছাড়া, অভিভাবকদের ইচ্ছানুযায়ী, বড় শিশুদেরও ভ্যাকসিন দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তারা।
অন্যদিকে, সিডিসি’র বর্তমান পরামর্শ কিছুটা ভিন্ন। স্বাস্থ্য সচিব রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রের অধীনে, সিডিসি সুস্থ শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়ে কোনো সুপারিশ করছে না।
তবে, শিশুদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেওয়া যেতে পারে। এএপি’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ রোগে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের সুরক্ষার জন্য ভ্যাকসিন দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
বিশেষ করে, ৬ মাস থেকে ২ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে এটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত, এএপি এবং সিডিসি শিশুদের ভ্যাকসিন বিষয়ক পরামর্শের ক্ষেত্রে এতদিন ঐক্যবদ্ধ ছিল।
কিন্তু এবার তাদের মধ্যে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। সাধারণত, উভয় সংস্থাই শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ভ্যাকসিনের সুপারিশ করে থাকে।
বর্তমানে, উভয় সংস্থাই ফ্লু ভ্যাকসিনের সুপারিশ করছে। তবে, ফ্লু ভ্যাকসিন সংরক্ষণে ব্যবহৃত একটি উপাদান, থাইমারসলের ব্যবহার নিয়ে তাদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে।
এএপি’র মতে, এই উপাদানটি ক্ষতিকর নয়, তাই তারা যেকোনো লাইসেন্সকৃত ফ্লু ভ্যাকসিন ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছে। উল্লেখ্য, আমেরিকান একাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্স (এএপি) একটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থা, যা শিশুদের স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করে।
সিডিসি, বা সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন, হল যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের জন্য গঠিত একটি সংস্থা। তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস।