মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডাক বিভাগের প্রধানের পদ থেকে লুই ডেজয় পদত্যাগ করেছেন। সোমবার তিনি এই পদ থেকে সরে দাঁড়ান। এমন এক সময়ে তিনি দায়িত্ব ছাড়লেন, যখন সরকারি এই সংস্থাটি বেসরকারিকরণের দাবি এবং তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসনের কড়া নজরদারির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের ডাক বিভাগ (USPS) থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ডেজয় জানান, ২৫০ বছরের পুরনো এই সংস্থাটিতে তিনি কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছেন। তবে সংস্থার অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে আরও অনেক কিছু করার আছে।
ডেজয় আরও বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারাটা তার জীবনের অন্যতম আনন্দের এবং কর্মজীবনের সেরা অর্জনগুলোর একটি। তিনি জানান, ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল ডগ টালিনো নতুন কাউকে নিয়োগ না করা পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করবেন।
লুই ডেজয়-কে এমন এক সময়ে পোস্টমাস্টার জেনারেল হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল, যখন কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে USPS আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিল। ফেব্রুয়ারিতে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
এর আগে তিনি একজন ব্যবসায়ী এবং রিপাবলিকান দলের গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্য ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুসারী ছিলেন।
বর্তমানে, খরচ কমানো এবং কার্যকারিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে USPS-এর পুনর্গঠনের কাজ চলছে। এই পরিস্থিতিতে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও কিছু পরিবর্তন দেখতে চেয়েছিলেন।
তিনি বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিকের তত্ত্বাবধানে এই সংস্থাটি পরিচালনার পরিকল্পনা করেন। বর্তমানে এর দেখাশোনা করেন গভর্নরের একটি বোর্ড, কোনো ক্যাবিনেট সচিব নন।
আমরা এমন একটি ডাক বিভাগ চাই যা ভালোভাবে কাজ করবে এবং প্রচুর অর্থ হারাবে না। আমরা সে বিষয়ে ভাবছি এবং এটি এক ধরনের একত্রীকরণ হতে পারে। এটি ডাক বিভাগ হিসেবেই থাকবে, এবং আমি মনে করি এটি আগের বছরগুলোর চেয়ে অনেক ভালো কাজ করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডাক বিভাগের এই পরিবর্তন বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশের ডাক বিভাগের কর্মপরিধি এবং কার্যকারিতা ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু একটি শক্তিশালী এবং কার্যকর রাষ্ট্রীয় ডাক ব্যবস্থা একটি দেশের যোগাযোগ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এই ধরনের পরিবর্তনের ফলে পরিষেবাগুলোতে কি প্রভাব পড়বে, সেদিকে এখন সবার নজর।
তথ্য সূত্র: CNN