শিরোনাম: শীর্ষ ১৯ ধনী মার্কিন পরিবারের সম্পদ এক বছরে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি: বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য সতর্কবার্তা।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী কিছু মার্কিন পরিবারের সম্পদ দ্রুত গতিতে বাড়ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শীর্ষ ১৯টি ধনী মার্কিন পরিবার গত এক বছরে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায়, যা আনুমানিক ১১২ লাখ কোটি টাকার সমান) সম্পদ বৃদ্ধি করেছে।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলে এবং প্যারিস স্কুল অফ ইকোনমিক্সের অর্থনীতিবিদ গ্যাব্রিয়েল জুকমানের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বৃদ্ধি ঘটেছে ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে।
এই ১৯টি পরিবারের মধ্যে রয়েছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস, মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এবং টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। জুকমানের মতে, এক বছরের ব্যবধানে এত বিপুল পরিমাণ সম্পদ বৃদ্ধি নজিরবিহীন।
বিশ্লেষণে আরও দেখা যায়, ১৯৮২ সালে এই শীর্ষ ধনী পরিবারগুলোর মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের মোট সম্পদের মাত্র ০.১ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ১.২ শতাংশে। আর এক বছরের ব্যবধানে, অর্থাৎ ২০২৪ সালে, তা ১.৮ শতাংশে পৌঁছেছে।
এই তালিকায় আরও রয়েছেন মেটা’র প্রধান নির্বাহী মার্ক জুকারবার্গ, বার্কশায়ার হাথাওয়ের প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন বাফেট এবং ব্যবসায়ী স্টিফেন শোয়ার্জম্যানের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব।
ইলন মাস্ক বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালে তিনি ২ বিলিয়ন ডলার সম্পদ নিয়ে বিলিয়নেয়ারদের তালিকায় প্রবেশ করেন।
এরপর দ্রুত তার সম্পদের পরিমাণ বাড়তে থাকে। একসময় তিনি ৪০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সম্পদের মালিক হয়েছিলেন। তবে পরবর্তীতে কিছু ক্ষেত্রে তার সম্পদের পরিমাণ কমেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের সম্পদ কেন্দ্রীকরণ বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, এটি একদিকে যেমন ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে বৈষম্য আরও বাড়িয়ে তোলে, তেমনি অর্থনীতির স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রেও ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
তথ্য সূত্র: পিপল