সৌদি আরবে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা: যুদ্ধবিরতির আশায় ট্রাম্প প্রশাসনের প্রচেষ্টা
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শুরু হয়েছে। এই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী স্টিভ উইটকফ।
অন্যদিকে, রুশ প্রতিনিধি দলে রয়েছেন অভিজ্ঞ কূটনীতিক গ্রিগরি কারাসিন এবং সাবেক গোয়েন্দা প্রধান সের্গেই বেসেদা।
আলোচনা শুরুর আগে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভের সঙ্গেও একটি বৈঠক হয়, যেখানে দুই পক্ষের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও, দুই পক্ষের মধ্যে এখনো অনেক বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।
বিশেষ করে, যুদ্ধবিরতির শর্ত এবং ভবিষ্যতে ইউক্রেনের অবস্থান নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ভিন্ন ধারণা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র চাইছে, রাশিয়া যেন অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। তবে রাশিয়া এই মুহূর্তে কিয়েভের (Kyiv) কাছে বেশ কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট করতে চাইছে।
তাদের মূল দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, যুদ্ধবিরতির সুযোগ নিয়ে ইউক্রেন যেন তাদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে না পারে এবং ভবিষ্যতে ন্যাটোর (NATO) সদস্যপদ লাভের চেষ্টা থেকে বিরত থাকে।
অন্যদিকে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল – খেরসন, জাপোরিঝিয়া, দোনেৎস্ক এবং লুহানস্কের (Kherson, Zaporizhzhia, Donetsk, and Luhansk) উপর তাদের অধিকারের স্বীকৃতি চাইছে।
উল্লেখ্য, এই চারটি অঞ্চলকে রাশিয়া তাদের অংশ হিসাবে ঘোষণা করতে চায়।
আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি উইটকফের কিছু মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তিনি রাশিয়ার আঞ্চলিক দাবিগুলোর প্রতি সহানুভূতি দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এমনকি, তিনি এক সাক্ষাৎকারে এই চারটি অঞ্চলকে ‘রুশ ভাষাভাষী এলাকা’ হিসেবেও উল্লেখ করেছেন।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelensky) মনে করেন, এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটানোর দায়িত্ব রাশিয়ার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে, যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হলে, দুই পক্ষকেই নমনীয় হতে হবে।
তথ্য সূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম